প্রতি বছর রমজান মাসকে টার্গেট করে ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কৃষকরা বাঙ্গি ও লালমির আবাদ করেন। এ অঞ্চলের বাঙ্গি-লালমির স্বাদ ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এখান থেকে বাঙ্গি-লালমি কিনে তা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
গত বছর কৃষকরা বাঙ্গি-লালমি বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছিলেন। ফলে এ বছর সদরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঙ্গি ও লালমির আবাদ করেন কৃষকেরা।
কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গত বছরের তুলনায় এবার ফলন হয়েছে অনেক কম।
কৃষকরা জানান, প্রচণ্ড খরা, পোকামাকড় এবং ভাইরাসজনিত কারণে বাঙ্গি-লালমির ফলন কম হয়েছে।ভাষানচর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের লালমি চাষী আব্দুর রহমান জানান, তিনি এ বছর এক একর জমিতে লালমি চাষ করেছিলেন। ফলন কম হয়েছে।
তার আশা, দাম ভালো পেয়ে তিনি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
আরেক কৃষক মিজানুর রহমান জানান, গত বছর যে পরিমাণ জমিতে লালমির আবাদ করেছিলেন, সেই পরিমাণ জমিতে এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। তারপর আবার ফলন তেমন একটা ভালো হয়নি। ভালো দাম না পেলে তিনি লোকসানের মুখে পড়বেন
সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৫শ একর জমিতে লালমি-বাঙ্গির চাষাবাদ হয়েছে। গত বছররের তুলনায় এ বছর আবাদ বেশি হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৩৫ টন ফলন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাজারে দাম ভালো থাকলে চাষিদের লোকসানের বোঝা বইতে হবে না।