মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা মিলিয়ে প্রায় পৌনে তিন লাখ ভোটার রয়েছেন। চা বাগান বেষ্টিত অঞ্চল হওয়ায় এর মধ্যে একটি বড় অংশের ভোট চা বাগান শ্রমিকদের। রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ভোটও। ভোটের মাঠ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘেটে দেখা গেছে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগের লোকজনই রয়েছেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে চেয়ারম্যান পদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা জুড়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

এই প্রার্থীরা হচ্ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ ভানুলাল রায়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আছকির মিয়া, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও শ্রমিকলীগের নেতা প্রেমসাগর হাজরা, বাংলাদেশ কৃষক লীগ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ও সাবেক ৩ নং শ্রীমঙ্গল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আফজল হক। এরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীরা বিভিন্ন আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে এখানে ভানুলাল রায়, আছকির মিয়া ও প্রেমসাগর হাজরা এই তিনজনের ত্রিমুখী লড়াইযের সম্ভাবনাই বেশি। মাঝে ডার্কহর্স হিসেবে নির্বাচনের পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন আফজল হক।

বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতিক (নৌকা) নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেই সময় আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাকর্মীরাই ভানু লাল রায়কে বিজয়ী করতে মাঠে থেকেছেন। তবে এবারের চিত্রটা ভিন্ন। এবার আওয়ামী লীগ স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না রাখায় যে যার মতো করে প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন।

শেষ মুহূর্তে কে বিজয়ের মালা পরবেন, তা নিয়েই এখন স্থানীয় মানুষের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

উল্লেখ্য, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্রীমঙ্গলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২মে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোটগ্রহণ ২৯ মে।