Tags: কোটা সংস্কারের আন্দোলন
জেলা প্রতিনিধি মুন্সীগঞ্জ : সারাদেশে ছয় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত আহত হয়েছে ৫জন। এবং লৌহজংয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনেও বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশি বাধায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুরু হয় রণক্ষেত্র। এ ঘটনায় ওসিসহ আহত হয় ১০জন। আহতরা হলেন, পদ্মা সেতু উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান, এএসআই আনিচুর রহমান, নারী কনস্টেবল লতা আক্তার, শিক্ষার্থী বিল্লাহ হোসেন, অমিত হাসান, রিমু আক্তার, শাওন প্রমুখ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও শটগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও মুন্সীগঞ্জ শহরে বেলা ১২টার দিকে এই ঘটে । একই সময় মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে দুইশতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে জড়ো হন। এসময় তারা পদ্মা সেতুর উত্তর থানার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে বসে পড়েন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তি হয়। এসময় পুলিশ আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে পুলিশ থানার ভেতরে গিয়ে অবস্থান নেয়। সে সময় থানা লক্ষ্য করে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ থানা থেকে বের হয়ে কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, পদ্মা সেতু উত্তর থানার সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিশৃঙ্খলা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। মহাসড়কের কোথাও যাতে বিশৃঙ্খলা না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক পুলিশ।