গ্রামের মানুষের জনজীবন হয়ে উঠেছে পানি ছাড়া অনেক কঠিন,পানির অভাবে যেন সকল কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে গেছে।, কেননা যে কাজ করতে যাচ্ছে সেই কাজেই পানি প্রয়োজন।
আমি কথা বলেছি, গাংনী উপজেলার, বামন্দী ইউনিয়নের,ঝোড়াঘাট গ্রামের মোঃ আনারুল হক তার সাথে, সে আমাদের কে জানান যে, আজ ২ দিন হলো হঠাৎ আমাদের টিউবওয়েলে আর পানি উঠছে না।তখন কিছুই বুঝতে না পেরে পাশের মিস্ত্রি কে ডেকে আনা হয়, মিস্ত্রি দেখে বলে টিউবওয়েলের কোন সমস্যা নেই, নিচ থেকে আর পানি পাওয়া যাচ্ছে না, তাই এমন হয়েছে।আনারুল হক আরো বলেন পানির জন্য সকল কাজ থেমে গেছে,পাশের বাড়ি থেকে পানি নিয়ে আসা লাগছে হোক সেই পানি খাওয়ার জন্য বা অন্য কোন কাজের জন্য।
আনারুল হকের স্ত্রী জানান খাবার পানির অভাবে অনেক কষ্টে আছি, আবার পানির অভাবে বাড়ির থালা বাসন পরিস্কার করতে পারছি না, কাপড় চোপড় অপরিস্কার হয়ে যাচ্ছে,
বাড়িতে গাভি গরু আছে তার ও গা ধোয়াতে পারছি না।
এমন আরো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানান।
এই অসহায় পরিবার যে বাসা থেকে পানি নিয়ে জীবন যুদ্ধ চালাচ্ছে সেই ব্যক্তির সাথে কথা বলেছি,
তিনি একজন শিক্ষক,মোঃ সাহারুল ইসলাম আমাদের জানান যে অনাবৃষ্টির কারনে পানির সংকট দেখা দিয়েছে,তিনি আরো বলেন যে হয়তো যেসব টিউবওয়েলের পাইপের গভীরতা কম সেসব টিউবওয়েলে এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে হয়তো,
আমার বাড়ির টিউবওয়েল প্রায় ২৫০ ফিট গভীরে পাইপ দেওয়া আছে তাই হয়তো আল্লাহর রহমতে এখনো আমার টিউবওয়েলে কোন সমস্যা হয় নাই।
গ্রামের মানুষের বক্তব্য, আমরা গ্রামের মানুষ আমরা সকল কাজে পানির উপর নির্ভর করি।
পানি ছাড়া কোন কাজকে আমরা কল্পনা ও করতে পারি না, কেননা পানিই আমাদের জীবন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, জেলার গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির স্তর প্রতি বছর ১০ থেকে ১১ ফুট নিচে নামছে।
১০ বছর আগেও এই এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ ফুটের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর পাওয়া যেত। অথচ এখন পানির জন্য যেতে হয় ২০০ থেকে ৩০০ ফুটেরও বেশি গভীরে
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক বছরে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর ১০ থেকে ১৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে হস্তচালিত অনেক টিউবওয়েল। যেখানে আগে ভূগর্ভের ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীরতা থেকেই পাওয়া যেত সুপেয় পানি। গত এক দশকে ক্রমেই পানির স্তর নিচে নেমে গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সীমান্তবর্তী মেহেরপুর জেলার উপজেলা গুলো ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নামছে। আগামীতে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে বলেও জানান তারা।