1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে পাক হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে রাণীশংকৈলে শোভাযাত্রা

মোঃ রবিউল ইসলাম (রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি)।
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

আজ ৩/ ১২/২৩ এ ডিসেম্বর রবিবার ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত হয়। ঠাকুরগাঁও তখন মহকুমা ছিল। ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় জেলার ১০টি থানা মিলে ওই মহকুমা ছিল।

এ অঞ্চলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। চুড়ান্ত বিজয় আসে আজকের এই দিনটিতে।

এরপর ১৫ই এপ্রিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকবাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত ঠাকুরগাঁওয়ের ইসলামনগর থেকে ছাত্রনেতা আহাম্মদ আলী, ইয়াকুব আলী, মাজারুল, দবিরুল ইসলাম,

নুরুজ্জামান ও সিরাজউদ্দীনকে ধরে এনে পাক হানাদার বাহিনী ঠাকুরগাঁও ক্যাম্পে আটক করে রাখে। পরে তাদের হত্যা করে টাঙ্গন নদীর পারে ফেলে রাখা হয়। যেখানে বর্তমানে বধ্যভুমি গড়ে তোলা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও তখন ছিল ৬ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশার। এ সেক্টরে প্রায় ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শক্রমুক্ত হয়।

পঞ্চগড় হাত ছাড়া হওয়ার পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে যায়। এরপর তারা প্রবেশ করে ঠাকুরগাঁওয়ে। ২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচুর গোলাগুলি শুরু হয়।

সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধার পিতা শেখ শহর আলী ও তার ভাই শেখ বহর আলীসহ ১৯ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে হত্যা করে তাদের মরদেহ আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের পাশের একটি কূপে ফেলে দেয়।

হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা গণহত্যা চালায় সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। সেখানে স্থানীয় কিছু লোকের সহায়তায় আশ-পাশের অনেক গ্রামের প্রায় তিন হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে ধরে এনে পাকবাহিনী গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে।

পরে তাদের মরদেহ মাটি চাপা দেয়া হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানে গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী ও তার দোসররা। এরই মধ্যে সুসংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামি মানুষ। তারা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গড়ে তুলে দুর্বার প্রতিরোধ।

এদিন সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহরসহ জনপদ ও লোকালয়ে মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বের হয় আনন্দের মিছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ঠাকুরগাঁও শহর।

হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে ঠাকুরগাঁও জেলা সহ,রাণীশংকৈল উপজেলায় বের হয়েছে আনন্দ মিছিল। মিছিলটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং বন্দর চৌরাস্তা মোড়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, এসময় উপস্থিত ছিলেন,

রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল হক এবং উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরকার।

উক্ত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোঃ শহিদুল হক মহোদয় বলেন, আমরা ত্রিশ লক্ষ্য শহীদদের রক্ষের বিনিময়ে এদেশ পেয়েছি, আমরা এদেশ আর রাজাকার আলবদর পাকিস্তানের দালালদের হাতে তুলে দিতে পারি না,

আবারও আওয়ামী লীগ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসবে এর কোন বিকল্প নেই। আপনারা আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মী সহ সকল ইলেকট্রনিক মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর