Tags: তিন পুরুষের বল, পান্তা ভাতের জল
আশ্চর্য ভাতের গন্ধ রাত্রির আকাশে। কারা যেন আজও ভাত রাঁধে, ভাত বাড়ে, ভাত খায়’- বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার মতো বাঙালির শান্তিতে-সংগ্রামে, সংসারের সুখে-দুঃখে জড়িয়ে আছে ভাতের গল্প। আর তাইতো প্রতি পহেলা বৈশাখে পান্তা হয়ে ওঠে বাঙালির বাঙালিয়ানা উদযাপনের প্রধান প্রতীক।
একেক দেশের প্রধান খাদ্য মূলত একেক রকমের ভূ-প্রাকৃতিক জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে। সে হিসেবে জলাভূমি ঘেরা পলি জমা উর্বর মাটির এ মুল্লুকে প্রধান ফসল হয়ে উঠেছে ধান। ধানকে কেন্দ্র করে ভাত হয়ে উঠেছে বাঙালির বেঁচে থাকার প্রধান খাবার।
জাতভেদে একজন কৃষককে রোপণ থেকে শুরু করে ঘরে ধান তুলতে তিন থেকে চার মাস এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি সময় লাগে। ধান, চাল ও ভাতের সঙ্গে বাঙালির আবেগ এবং অস্তিত্বের সম্পর্ক সেই আদিকাল থেকে। গোলা ভরা ধান আর পুকুর ভরা মাছ মানে আভিজাত্যের প্রতীক। ঘরে চাল নেই; এমন দৃশ্য দারিদ্রতার সেই আদি থেকে আজ পর্যন্ত সর্বজনীন চিত্র।
আর তাইতো বাংলা ভাষার প্রথম নির্দশন আদি চর্যাকবি ঢেণ্ডণপা এর পদ ‘টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী, হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেশী’ লাইনগুলোতেও উঠে এসেছে ভাতের অভাবের কথা।