মা কথাটি একটি শব্দের ভিতরে আছে মিষ্টি জাদু কিংবা মহত্ত্ব বা গৌরবের আলোড়ন।এ বিশাল ভূবন যার মাধ্যমে দেখা তিনি আমার মা।তার প্রতি শ্রদ্ধা বা ভালোবাসার কমতি হবেনা।
পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার এক মহান সৃষ্টি হলো মা।কেননা তারা সন্তান ধারণ করতে ও বড় করতে যতটা কষ্ট করে তা গুণে হিসাব করা যায়না। মায়ের স্নেহ-মমতা ও আশীর্বাদ ছাড়া জগতে কেউ উন্নতি লাভ করতে পারে না।
সব ধর্মেই মায়ের গুরুত্ব সবার ঊর্ধ্বে বর্ণিত হয়েছে। মায়ের ঋণ অপরিশোধ্য অর্থাৎ এমন ঋণ যা কোনো দিন কেউ পরিশোধ করতে পারে না। মা শুধু সন্তানের মুখ থেকে মা ডাকের মধ্যেই আত্মার প্রশান্তি উপলব্ধি করে থাকেন।
ইউরোপ বিজয়ী বীর সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট তার মা লেটিসিয়াকে দেখেছেন বুদ্ধি, আত্মমর্যাদা বোধ, ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে ১৩ সন্তানকে লালনপালন করতে। তাই তো তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে একটি ভালো মা দাও, আমি তোমাদের একটি ভালো জাতি উপহার দেব।’
একজন শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম স্তর হল পরিবার।একজন আর্দশ শিক্ষিকা হলো প্রতিটি শিশুর মা।মা যদি নীতি ও আর্দশবান হয় তাহলে তার সন্তানেরাও নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন হয়,দেশপ্রমিক হয় এবং সমাজে কল্যাণে সর্বদা এগিয়ে যায়।
মা হল অমূল্য রত্ন।সন্তানের জন্য তার ত্যাগ সংগ্রাম কখোনো ভোলার মতো নয়।সন্তানের জন্য তার যে শ্রম তা পৃথিবীর কোনো কিছুর সাথে তুলনা হয় না।মা প্রতিটি সন্তানের জন্য প্রধান আশ্রয়স্হল। মা কে কখনো ভোলার মত না।
মা কে নিয়ে কি ভাবছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা জানতে চাইলে যুথি রানী বলেন
আমি যখনই বন্ধুত্ব বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে যাই তখন যেই কয়েকটি শব্দ মাথায় আসে তা হলো বিশ্বাস, বিপদে পাশা থাকা, নির্দিধায় মনের ভাব প্রকাশ করতে পারা, নিঃশর্ত ভালোবাসা। এর সবকটিই আমি খুঁজে পাই মায়ের মধ্যে। আশেপাশের মানুষের নানান কটুক্তির মধ্যেও যে মানুষটা আমার উপর বিশ্বাস রাখে সেই আমার বন্ধু মা। মন খারাপ, কান্না কিংবা হৃদয় ভেঙে যাওয়া সব পরিস্থিতিতেই যিনি ক্ষমা করে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি আমার মা। সারাদিন কি কি করেছি,কোথায় গিয়েছি, কার সাথে মিশছি, কি ভুল হলো নির্দিধায় যাকে বলে সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই কমিয়ে ফেলি তিনি আমার মা। আমার বন্ধু মা। আমার কাছে তার চাওয়া পাওয়া শুধু ” আমি যেন ভালো থাকি” এই নিঃশর্ত ভাবনা রাখা মানুষটা আমার বন্ধু মা।
আরেক শিক্ষার্থী তমিজ উদ্দিন বলেন,
‘মা’ শব্দটা খুব ছোট কিন্তু এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে আকাশ সমান ভালোবাসা, স্নেহ, মততা।ছোটবেলা থেকেই আমি দেখেছি মা সারাদিন সংসারের জন্য কাজ করেন কিন্তু আমাকে কোন সময় ভুলেন না।মা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে দিতে পারেন আমার মনের কি অবস্হা।যে সমস্যাগুলো কেউ বলার পরেও বুঝেনা মা দুর থেকে আমার কন্ঠ শুনেই বুঝে যান। আমি যখন বাড়িতে যায়, যেতে অনেক রাত হলে দেখি মা আমার জন্য না ঘুমিয়ে বসে আছেন। যতদিন বাড়িতে থাকি সবকিছুই হয় আমার পচ্ছন্দের, ছোট ভাই বলে মা তোর জন্য তোর পচ্ছন্দের সব খাবার রেখে দেয়। যখন কেউ আমার পাশে থাকেনা তখন আমি আমার মা কে পাশে পাই।মায়ের কোলে নিশ্চিতে ঘুমানোর মতো শান্তিটা কোথাও খুজে পায়নি এখনো। এককথায় আমার মা আমার বন্ধু, শিক্ষক,ডাক্তার, রাধুনি, মনোবিজ্ঞানী।
সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত পৃথিবীর সকল মা এর প্রতি মা দিবসের শুভেচ্ছা।