১৩ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার দৌলতপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও মনোহরদী উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এর আয়োজনে ‘আগামী রাষ্ট্র গঠনে জনাব তারেক রহমানের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভা টিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ( সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। 

তাছারাও অনুষ্ঠান টিতে মনোহরদী উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সহ মনোহরদী উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এর পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা তাঁদের নিজেদের বক্তব্য দেন।

সকলের বক্তব্য অনুযায়ী, গত ৫ ই আগষ্ট ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার সরকার পতনের মাধ্যমে আজকে বাংলাদেশের মানুষ তাদের বাক স্বাধীনতা পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে বিদায় হয়েছে জুলুম-নির্যাতন ও অন্যায়-অবিচার। গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ও দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত রাখতে তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্ব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পূনঃগঠন ও সুন্দর স্বনিতর্ভর রাষ্ট্র গঠনের আশা ব্যাক্ত করেছে সবাই।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে এটাও পরিষ্কার করেন যে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পরও বর্তমানে মনোহরদী-বেলাব (নরসিংদী-৪) তে বিএনপির রাজনীতিতে সৃষ্ট বিভাজন সহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘঠনা প্রতিহত করে দলকে পূনঃগঠন করতে জনাব আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল এর বিকল্প নেই। ১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিয়ে দলের দুঃসময়ে মনোহরদী-বেলাবতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কান্ডারী জনাব আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল সাহেবকে সঠিক মূল্যায়ন করে মনোহরদী-বেলাব বিএনপি ও সর্বস্তরের মানুষের দুঃখ মোচনের আশা ব্যক্ত করেন। তাছাড়াও মনোহরদী-বেলাবকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক সহ সকল প্রকার অরাজকতা, অন্যায়-অবিচার এবং দূর্নিতি মুক্ত করতে জনাব আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল সাহেব এর বিকল্প নেই বলে জানান তাঁরা।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জনাব আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল মরহুম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক শিক্ষার সৃতিচারণ শেষে সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের বিষয়ে খোজ-খবর নেন এবং নতুন প্রজন্ম কে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আন্তরিক সাধুবাদ জানান। তিনি এটাও বলেন, কোটা আন্দোলন কে কেন্দ্র করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হলেও সর্বশেষ এই আন্দোলনটি ফ্যাসিবদি স্বৈরাচার সরকার পদত্যাগের একদফা দাবীতে রূপ নেয় ও স্বৈরাচার সরকার পতিত্যাগে বাধ্য হয়। কিন্তুু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পূর্ব থেকেই এই একদফা দাবীতে অটল ছিল। ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরৎ এনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার সহ সকল অন্যায় ও দূর্নিতির বিচার করার জন্য বর্তমান অন্তঃবর্তী কালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান তিঁনি।

তাঁর বক্তব্যে তিঁনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে  তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের চিন্তা ভাবনা একদম পরিষ্কার। জনাব তারেক রহমানের চিন্তা ভাবনা অনুযায়ী সাম্য-সম্প্রতি সহ বৈষম্য মুক্ত হবে বাংলাদেশ। থাকবে না কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মাদক, দূর্নিতি ও অরাজকতার স্থান। আধুনিক, স্মার্ট, শান্তি, সম্প্রিতি, প্রতিহিংসা মুক্ত ও ভাতৃত্ব বোধের বাংলাদেশ বিনির্মানই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তথা তারেক রহমানের মূল লক্ষ।

সবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের মানুষকে বিভ্রান্ত না হয়ে মরহুম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী জনাব তারেক রহমানের উপর ভরসা রাখার বার্তা প্রদান করেন। মরহুম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত ও বেগম খালেদা জিয়া ও জনাব তারেক রহমানের সুস্থতা এবং সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনার মধ্য দিয়ে আলোচনা সভাটি শেষ হয়।

আলোচনা সভাটি পর্যবেক্ষনকালে দেখাযায়, নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এই সভায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করায় আলোচনা সভাটি একটি জনসমুদ্রের জনসভায় রূপান্তরিত হয় এবং এতে করে প্রমান হয়, মনোহরদী-বেলাবতে (নরসিংদী-৪) দলীয় বিভাজন ভেঙ্গে দলকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ও মানুষের দুঃখ মোচনে এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান ঘটাতে জনাব আব্দুর কাদির ভূইয়া জুয়েল সাহেব এর গুরুত্ব অপরিসীম ও অপরিহার্য।