কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্লুইস গেইট এলাকায় এনামুল হক (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রৌমারী-ঢাকা মহাসড়কের পাশের ইরিধান ক্ষেত থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। স্থানীয় মুকুল হোসেন (৪৮),
দুলাল হোসেন (২৫) ও আসমত আলী (৪৫) জানান, সকালে ধান রোপণ করতে এসে তাকে ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাকে তুলে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে ফায়ারসার্ভিস কে জানাই।
ফায়ারসার্ভিস এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।রাজীবপুর ফায়ারসার্ভিস ইনচার্জ আবু হানিফ বলেন, আমরা একজন ব্যক্তির অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকার খবর পেয়ে
ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে স্লুইস গেইট বাজারে এলাকাবাসীর কাছ থেকে নিয়ে আমরা রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত এনামুল হক এর ছোট ভাই মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টার সময় ভাই অটো নিয়ে বের হয়। প্রতিদিনের মতো গতকালও সকাল ৮টায় তিনি অটো নিয়ে বের হয়েছিলেন।
পরে সারাদিন সারারাত বাসায় না ফেরায় তাকে খুঁজতে বের হই আমি ও আরেক একজন অটো চালক। খুঁজতে খুঁজতে শুনি রাজীবপুরে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এটা শুনে দ্রুত হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাইকে ছিনতাইকারীরা হত্যা করে অটো টা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।
মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফাহমিদা বলেন, রাজীবপুর ফায়ারসার্ভিস মৃত অবস্থায় একজনকে আমাদের এখানে নিয়ে আসেন। মৃতব্যক্তির শরীরে কাঁদাপানি মাখা ছিলো।
রাজীবপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশিকুর রহমান পিপিএম বলেন, প্রথমে একটি ডেট বডি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে লোকাল সাংবাদিকদের প্রচারের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে।
তার বাসা রৌমারীতে, তিনি অটোচালক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে, ছিনতাইকারীরা অটোটাকে চুরি বা ছিনতাই করার নিমিত্তেই তাই তাকে কোনো কিছু খাওয়ায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি মার্ডারের মতো ঘটনা এটি।প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা মামলা নিচ্ছি। উনার স্ত্রী আসলে তাকে বাদী করে মামলা নেওয়া হবে।লাশ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের রাজীবপুর থানা পুলিশ এ রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করবে।