জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায়( কনফারেন্স কক্ষ) চতুর্থ বার্ষিকী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার ( ২৩ জানুয়ারি ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায়( কনফারেন্স কক্ষ) দুই পর্বের অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে উক্ত বিভাগের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এর ডি. লিট ডিগ্রি অর্জন, ‘দীনেশ-রবীন্দ্রপত্র’ ও ‘ঝষিজ’ পদক প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে বরণ করে নেয় বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
দ্বিতীয় পর্বে চতুর্থ বার্ষিকী সেমিনার অনুষ্ঠানে উক্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় এবং রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর এবং বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান সহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক – শিক্ষার্থীরা ।অনুষ্ঠানটিতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সিপ্রা সরকার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ কায়েস।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন-
সমাজবিজ্ঞান থেকে বহু বিভাগের জন্ম হয়েছে। নৃবিজ্ঞান, পপুলেশন সায়েন্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিভাগের ধারণা এসেছে সমাজবিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে। আমাদের শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী হতে হবে। নিজের ক্যারিয়ারকে ভালো করতে হলে এখন থেকেই ভাবতে হবে। আমি বিশ্বাস করি শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করে নিজে সমৃদ্ধ হবে এবং সমাজ ও দেশকে তারা এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আমি যোগদানের পর শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নকে মোটো হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মান এবং উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাই। এখন প্রতিটি বিভাগে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা চলছে, সেশনজটও কমেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণামনস্ক হয়ে উঠছে, রিসার্চ ফেয়ার, আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ও নানামুখী গবেষণা কার্যক্রম চলছে।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিভাগের শুরুতে আমরা ৩ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু করেছিলাম। তখন একটি মাত্র রুম ছিলো। সংকট কাটিয়ে এখন সমাজবিজ্ঞান একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিভাগও বেশ সাজানো-গেছানো। একাডেমিকের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভাগের উন্নয়নের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় আরো এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা করি।