1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশ্বাস, আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশ্বাস, আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের হাটহাজারিতে যানযট নিরসনে অভিযান।  চবিতে ড.ইয়াহ্ইয়াকে সাময়িক উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।  রাউজানে হেফাজতে ইসলামের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত।  গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা মামলার আসামি শেখ সেলিমসহ ১৬১৮ জন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজশাহীতে স্বস্তিতে সমাবেশ করলো বিএনপি  আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইদে মিলাদুন্নবি উদযাপন  মুন্সীগঞ্জে ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ! মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবির ৭ দিনের রিমান্ডে

ভূমিদস্যুতা,চাঁদাবাজি,মাদক সহ সকল অপকর্মের নেপথ্যে কে এই ইমন আলম?সঙ্গী কারা?

কাউছার মিয়া।
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

Tags: ,

 

হেলাল হাসান ইমন আলম। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার গোতাশিয়া ইউনিয়নের বৃহত্তর চুলা গ্রামের রাজভল্লব কান্দি মহল্লার মোঃ কাদিরের তৃতীয় ছেলে এই হেলাল হাসান ইমন আলম। যার সংক্ষিপ্ত নাম ‘ইমন আলম’। সে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের এক সময়ের আহবায়ক ও সভাপতি। তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নানান অপকর্ম জনিত কারণে মানুষ তাকে বিভিন্ন নামে বিশেষায়িত করে থাকে যেমন, কানু আলম, চাঁদাবাজ আলম, ভূমিদস্যু আলম, ইয়াবা আলম, হুন্ডি আলম, ইত্যাদি।

 

ইমন আলম বিগত আওয়ামী শাসনামলে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দলীয় নাম/পদ-পদবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি বিশেষের নাম ব্যবহার করে এহেন অপকর্ম নেই যা সে করে নি। রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহার করে এসব অপকর্ম পরিচালনা করতে ইমন আলম তার নেতৃত্বে এক সুবিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে। তার এই সন্ত্রাসী বাহিনীতে যেমন আছে নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলা সর্বহারা পার্টির কমান্ডার,সদস্য,চিন্হিত চোর,ডাকাত,মাদকসেবী,মাদক ব্যবসায়ী,জুয়াড়ি এবং সাজাপ্রাপ্ত খুনি তেমনি আছে বিভিন্ন বয়সের কিশোর-গ্যাং।

 

তার এই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হল, ১|কাজী আজিজুল হক ওরুফে কাজল মেম্বার(নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলা সর্বহারা পার্টির দুর্ধর্ষ কমান্ডার, গোতাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আবুল বরকত রবিন সাহেবের হত্যাচেষ্টা কারি, ভূমিদস্যুতা ও মামলাবাজির মূলহোতা, জুয়ার আসর পরিচালনাকারি, সুদি কারবার পরিচালনাকারি সহ সকল অপকর্মের উপদেষ্টা) ২|কাজী আনোয়ার হোসেন ওরুফে গাঞ্জা ছরু (নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলা সর্বহারা পার্টি দুর্ধর্ষ সেকেন্ড কমান্ডার, মাদকসেবী, মাদক (গাজা) ব্যবসায়ের পরিচালনাকারি, হুন্ডি ও চোরাকারবারি পরিচালনাকারি) ৩|কাজী দেলোয়ার হোসেন ওরুফে দেলু ডাহাইত (নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব-বাংলা সর্বহারা পার্টির সক্রিয় সদস্য, চিন্হিত চোর, ডাকাত দের সর্দার, খুনি, হত্যা মামলায় বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় দন্ডিত/সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে দীর্ঘদিন সৌদিআরবে পলাতক আসামী, সৌদিআরবে পলাতক থাকাকালীন হুন্ডির মাধ্যমে দেশের টাকা পাচারকারী এবং ইমন আলমের পরিচালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর অর্থনৈতিক মদদদাতা) ৪| কাজী সাখাওয়াত হোসেন মহব্বত ওরুফে বাবা মহব্বত (ইয়বা সেবক, ইয়াবা ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক প্রভাবের সিন্ডিকেট, মেডিকেল সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির পরিচালনাকারি, ভূমিদস্যুতায় পারদর্শী ও মামলাবাজ) ৫|খলিলুর রহমান ভূইয়া ওরুফে খইল্লা চোরা (গাজা সেবক, গাজর ব্যবসার অন্যতম সহযোগি, গাছ হত্যাকারি) ৬|কাজী মেজবাহ উদ্দিন ওরুফে লিকুইড মেজবাহ (অবৈধ ভূমি দখলকারী, অবৈধ মদের সাপ্লায়ার, অস্ত্র সাপ্লায়ার, হুন্ডি ব্যবসা পরিচালনাকারি ও মামলাবাজ)।তাছাড়াও কিশোর-গ্যাং সদস্যদের মধ্যে অন্যতমরা হল, ১|হৃদয় ওরুফে বডিগার্ড/সাপ্লাই হৃদয় বা আতঙ্ক হৃদয়(ইমন আলমের বডিগার্ড,হুন্ডি ও মাদকদ্রব্যের  ডেলিভারি ম্যান ও কিশোর-গ্যাং লিডার) ২|রাফী ওরুফে ডেঞ্জার রাফি (কিশোর-গ্যাং এর সেকেন্ড লিডার, গাজা ও ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনাকারি, চিন্হিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিতে পারদর্শী) ৩| আব্দুল্লাহ ওরুফে হাতুড়ি আব্দুল (ইমন আলমের ড্রাইভার ও সেকেন্ড বডিগার্ড, ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী, টেন্ডার ও চাঁদাবাজির সহযোগী) ৪|শাওন ওরুফে ডেরবা শাওন(গাজার ব্যবসা পরিচালনাকারি, অস্ত্রের রক্ষনা-বেক্ষনকারি ও শোডাউন এর মাস্টার মাইন্ড)৫| জাহিদ ওরুফে কানা জাহিদ (গাজা ব্যবসার সহযোগী, ডেরবা শাওন এর একান্ত সহযোগী) ৬|পাভেল ওরুফে বাঘা পাভেল (গাজা ব্যবসার এজেন্ট) ৭|মাইনুদ্দিন ওরুফে কালা মানিক (অবৈধ মদ ব্যবসা পরিচালনাকারি,গাজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ের এজেন্ট) ৮|রাজিব ওরুফে ভিলেন রাজিব (অবৈধ মদ ব্যবসা পরিচালনাকারি, মারামারি/সহিংসতায় উস্তাদ) ৯|রাতুল ওরুফে ইয়াবা রাতুল (ইয়াবা ও গাজা ব্যবসার এজেন্ট) ১০| আরাফ/রুমি ওরুফে গাঞ্জা আরাফ/রুমি (বিশিষ্ট মাদক চোরাচালানকারি ও গাজা ব্যবসার সহযোগী)।

 

ইমন আলমর এই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ গোতাশিয়া ইউনিয়ন তথা মনোহরদী উপজেলা ও তার আশেপাশের এলাকায় অবৈধ ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক(মদের,গাজা,ইয়াবা)সেবন ও ব্যবসা, চুরি, ছিনতাই, চোরাকারবারি, হুন্ডি, জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা, সুদি কারবার পরিচালনা, ভূমি অফিসে দূর্নিতির সিন্ডিকেট, অবৈধ মদের চোরাচালাল, মেডিকেল সিন্ডিকেট, সহ সকল প্রকার অপকর্ম করে আসছে। তাদের এসব অপকর্মের স্বীকার বহু মানুষ। তাদের কারণে সর্বদাই জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করে। ইমন আলম তার এই সন্ত্রাসী বাহিনী কে সাথে নিয়ে সর্বদা অস্ত্রের মহড়া/শোডাউন দিযে আসছে। তাদের কাছে থাকা অস্ত্রের ভয়ে কেউ কোনপ্রকার প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। ইমন আলম, কাজল মেম্বার, গাঞ্জা ছরু, দেলু ডাহাইত, খইল্লা চোরা, লিকুইড মেজবাহ ও কিশোর-গ্যাং এর তৈরি করা এই মাদক ও অপরাধের সাম্রাজ্যে যুব সমাজ ধংসের দ্বারপ্রান্তে, অনেকে হয়েছে সর্বশান্ত ও এলাকাছারা। সর্বসাকুল্লে আইন ও বিচার ব্যবস্থা হচ্ছে  চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ।তাদের ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে ভূমিহীন, ভূমি বে-দখল ও মামলা মোকদ্দমায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেকে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, মোমেনা বেগম, আবুল কালাম আজাদ, সজিব ভূইয়া, ফরিদ ভূইয়া, লিপু ভূইয়া, চঞ্চল ভূইয়া, তানভীর ভূইয়া, শ্রী অমল চন্দ্র ও তাদের পরিবারের লোকজন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি অর্থায়নে সরকারি রাস্তা না করে ইমন আলম ও তার একান্ত সহযোগী কাজী সাখাওয়াত হোসেন মহব্বত ওরুফে বাবা মহব্বত তাদের প্রয়োজনে ইমন আলমের বাড়িতে ডোকার জন্য কনক্রিট ঢালাই এর রাস্তা আর বাবা মহব্বত এর বাড়ির সামনে ইটের সলিং এর ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মান করে। অথচ রাস্তা দুটির একটিও সরকারি রাস্তা নয়!

 

রাজভল্লব কান্দি মোড়লবাড়ি মসজিদের উন্নয়নে সরকারি ফান্ডের টাকাও ইমন আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নেয়। মসজিদের টাইলসের টাকায় সে তার নিজের বাড়ির টাইলস লাগায়, মসজিদের থাই গ্লাসের(জানালা) টাকা দিয়ে সে তার নিজের বাড়ির জানালা লাগায়। সৌদি আরবে থাকা ইমন আলমের দুই ভাইকে হুন্ডির ব্যবসায় জড়িত করে এই ইমন আলম আর এতে করে দেশের অর্থনীতি হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থ। ইমন আলমের ছোট ভাই ইমন আলমের পরিচয়ে নানান নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত।

তাছারাও ইমন আলম ও তার একান্ত সহযোগী কাজী সাখাওয়াত হোসেন মহব্বত ওরুফে বাবা মহব্বত এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর-গ্যাং বাহিনী কে সাথে নিয়ে নরসিংদীতে আন্দোলনরত ছাত্রদের বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থান নেয়। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্র জনতা ও সাধারণ মানুষকে মারধর ও স্থানীয় ছাত্রদেরকে নানা রকম হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন এর প্রমান পাওয়া যায় এবং বর্তমানেও তারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ছাত্র জনতা ও সাধারণ মানুষকে নানা রকম হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। ইমন আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আতঙ্কে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলে না।

এসব বিষয়ে ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়রা জানান, হেলাল হাসান ইমন আলম, কাজী আজিজুল হক ওরুফে কাজল মেম্বার, কাজী আনোয়ার হোসেন ওরুফে গাঞ্জা ছরু, কাজী দেলোয়ার হোসেন ওরুফে দেলু ডাহাইত, কাজী সাখাওয়াত হোসেন মহব্বত ওরুফে বাবা মহব্বত, খলিলুর রহমান ভূইয়া ওরুফে খইল্লা চোরা, কাজী মেজবাহ উদ্দিন ওরুফে লিকুইড মেজবাহ, হৃদয় ওরুফে বডিগার্ড হৃদয় বা আতঙ্ক হৃদয়, রাফি ওরুফে ডেঞ্জার রাফি, আব্দুলা ওরুফে হাতুড়ি আব্দুল, শাওন ওরুফে ডেরবা শাওন, জাহিদ ওরুফে কানা জাহিদ, পাভেল ওরুফে বাঘা পাভেল, মাইনুদ্দিন ওরুফে কালা মানিক, রাজিব শেখ ওরুফে ভিলেন রাজিব, রাতুল ওরুফে ইয়াবা রাতুল, আরাফ/রূমি ওরুফে ডেঞ্জার আরাফ/ডেঞ্জার রূমি সহ ইমন আলমের সন্ত্রাসী ও কিশোর-গ্যাং বাহিনীর সকল (অজ্ঞাত নামা) সদস্যদের দ্বারা আমরা সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ।

তারা দেশ ও সমাজের শত্রু। এসব বিষয়ে মনোহরদী থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও তার কোন অগ্রগতি হয় নি উল্টো অভিযোগকারী নানা ভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়েছে। হয়েছে নানান মিথ্যা মামলার আসামি। তাই তাদের সকল অপকর্মের বিষয়ে গোতাশিয়া ইউনিয়ন তথা মনোহরদী উপজেলা ও তার আশেপাশের এলাকার সর্বস্তরের মানুষ বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইন উপদেষ্টা সহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর