1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আদর্শে দেশ গড়তে চান – জামাতে ইসলামী মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।   রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়তের দখল ও প্রদানকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন কাওয়ালী অনুষ্ঠান থেকে কবি নজরুলকে জাতীয় কবির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি আসুন আমরা সবাই মিলে সুন্দর মুন্সীগঞ্জ গড়ে তুলি  জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:): মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমন শেখ হলেনসোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গাজীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই নরসিংদীর  শেখ হাসিনা কি সত্যি পদত্যাগ করেছিলেন নবগঠিত কমিটিকে স্বাগতম জানিয়ে ধুনট উপজেলা ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল                                         

ভালোবেসে আড়াই দশক পার

হাসান আলী, ঠাকুরগাও
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

 

ভালোবাসার অনন্য উদাহরণ ঠাকুরগাঁওয়ের তিন ফুট উচ্চতার নীলকান্ত-গীতা দম্পতি। ভালোবেসে বিয়ে করে আড়াই দশক পার করেছেন তারা। অভাব তাদের ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। নীলকান্ত-গীতা ভালোবাসার গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে।

নীলকান্ত ও গীতা রানি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের সংসারে এক মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয় ও স্বজনরা জানায়, উচ্চতা কম হওয়ায় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের কাছে কটাক্ষের শিকার হন নীলকান্ত। সব বাধা ডিঙিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। কিন্তু নিয়তি তাকে বেশিদূর এগুতে পারেননি। কয়েক মাসের প্রেমের পর ১৯৯৮ সালে পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। সংসার জীবনে এক মেয়ে সন্তানের অভিভাবক তারা। দুজনের উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট। এত কম উচ্চতা ও খর্বাকৃতি হওয়ায় দুজনকে শুনতে হয়েছে কটু কথা। কিন্তু সেসব পাত্তা না দিয়ে একে অপরকে ভালোবেসে পার করে দিয়েছেন আড়াই দশক।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক কমল রায় বলেন, তারা শুধু দেখতে খাটো। এটি তাদের একটা অপূর্ণতা। সবার জীবনে একটা না একটা সমস্যা থাকে। তবে তাদের যে মিল মহব্বত এটা অনেক বেশি। আমরা তাদের মাঝে কখনো বড় কোনো সমস্যা দেখিনি। তারা সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করে। তাদের মতো স্বামী-স্ত্রী প্রতিটা সংসারে হওয়া উচিত।
গীতা রানী বলেন, সংসার মানে সমস্যা, ঝগড়া ও নানা ঝুট ঝামেলা। অনেক সময় এসব বাড়লেও কখনো চিন্তাও করিনি তাকে ছেড়ে যাব। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।

নীলকান্ত বর্মণ বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাকে এভাবেই পৃথিবীতে বাঁচাতে চেয়েছেন। তিনি আমাকে ভালো রেখেছেন। মানুষের কটু কথা শুনেও আমি পড়াশোনা চালিয়ে গেছি। তবে সমস্যার কারণে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা হয়নি। তারপরে কাজ করে সংসার চালাই। এক মেয়ে আমার। তাকে পড়াশোনা করিয়ে বিয়ে দিয়েছি।
তিনি বলেন, বাবার দেওয়া ভিটেমাটি ছাড়া কিছু নেই। যে ঘরটিতে আমি থাকি সেটি আমার। বাবা-মায়ের ঘরটা মায়ের নামে। কিছুদিন আগে বাবা মারা গেছেন। মা আমার নামে জমিটা দিতে চান। তবে সেটি আমার নামে করে নেওয়ার মতো কোনো খরচ নেই।

নীলকান্ত বলেন, কয়েক মাস আগে এক দোকানে থাকতাম। সেটা বাদ দিয়ে এখন দিনমজুরি করি। আমার ঘরটাও ভাঙা। টাকার অভাবে সংস্কার করতে পারছি না। তারপরও স্ত্রী সঙ্গ দিয়ে আসছে। কখনো সে আমাকে হতাশ করেনি। সবসময় আমাকে সাপোর্ট দেয়। এটি আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।

সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেরেকুল ইসলাম বলেন, তারা দুজন একই উচ্চতার। তাদের মধ্যে ভালোবাসার মধুর সম্পর্ক খুব কাছ থেকে দেখেছি। তারা সুন্দর জীবনযাপন করছেন। তাদের ভালোবাসার কথা এখন সবার মুখে মুখে। পরিষদের পক্ষ থেকে সবসময় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করা হয়।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর