জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বাপনের কবিতার প্রথম বই ‘মস্তকের বিষ্ফোরণ’ প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে বই মেলা ২০২৪ এ।
শিখা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটি একটি কাব্যগ্রন্থ
আমিরুল ইসলাম বাপন এর নতুন কবিতার বই ‘মস্তকের বিস্ফোরণ’ যা ৩০০ থেকে ৩০৩ নাম্বার স্টলে পাওয়া যাবে।
কবি এখানে প্রেমহীন, রেষারেষি, শঙ্কা ও ব্যর্থতার অন্ধকার শরীরে জীবনের আগুন দিয়ে লেখা ভালোবাসাবাসি, উদার-সম্প্রীতি ও সম্ভাবনার কথা ফুটিয়ে তুলেছেন।প্রেম-অপ্রেম, হিংসা-প্রতিহিংসা, ঘাত-প্রতিঘাতের জীবন এক তৃষ্ণিত ভ্রমণ। তামাশার বাতাসে ভ্রাম্যমাণ সেই জীবনের ঠোকরে অতিষ্ঠ পৃথিবী আজ মরু-প্রায়।পৃথিবীকে এমন প্রেমহীন মরুভূমির উর্বর বিশৃঙ্খলতায় ডুবিয়ে দেওয়া ডাবল-স্ট্যান্ডার্ড আধুনিক পশুদেরকে শোধরাতে না পারার ব্যর্থতার রাত ছিঁড়ে কবি ওড়াতে চান ভোরের সূর্য। যেই সূর্যের আলোতে গজানো সুস্থ সভ্যতায় জীবনকে সুন্দরভাবে যাপনে কবি রাখতে চাননা কোনো প্রতিবন্ধকতা কিংবা পৃথিবীকে ডিমের মতন ভেঁজে খাওয়ার আগ্রাসন। প্রেমহীন মরুভূমির উর্বর বিশৃঙ্খলতায় কবি একটি সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করার জন্য সুস্থ সভ্যতা গড়ে তুলতে চান।
উপলব্দি, অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে কবি বলেন,বইমেলায় পাঠক আসছে, এসে ‘মস্তকের বিস্ফোরণ’ খোঁজছে। যাদের জন্য আমার এই প্রয়াস, তারা সেটাকে চাচ্ছে, গ্রহণ করছে, এই যে একটা চোখ নিঃসৃত অনুভূতি, প্রথমবারের মত প্রকাশিত বই নিয়ে এরচে বেশি আনন্দের আর কিচ্ছুই হতে পারে না।
প্রতিটা বাবা সন্তানের জন্য সর্বোচ্চটা বিসর্জন করে থাকেন সন্তান যেন নিজ গুণে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, প্রতিযোগিতায় শুধু টিকে থাকাই নয় এগিয়েও যেতে পারে। আমি তেমন কোনো গুণ বা মানসম্পন্ন কবিতার জনক নই, বাবার পরিচয়ে ‘মস্তকের বিস্ফোরণ’ প্রতিষ্ঠিত হবার মত সামান্যতম লেখকও নই। সন্তানের ব্যাপারে বাবার শঙ্কার মতই ‘মস্তকের বিস্ফোরণ’ নিয়েও আমার ভয়। তবে আশাবাদী এই ‘মস্তকের বিস্ফোরণ’ পাঠক-মগজে নূন্যতম হলেও বিস্ফোরণ ঘটাবে, এটা আমার বিশ্বাস।