জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহা এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত (এস.আর.ও নং-৪৭- আইন/২০২৪) পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে বৈষম্যমূলক দাবি করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) শিক্ষক সমিতি বিবৃতিতে জানায়, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত (এস.আর.ও নং-৪৭- আইন/২০২৪) প্রজ্ঞাপনের ফলে সারাদেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, এই পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ চরম বৈষম্যের শিকার হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রজ্ঞাপন কাম্য নয়। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে যে শিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে সেই গুরুত্ব এবং শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
শিক্ষক সমিতি মনে করেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন ব্যাহত হবে, যদি না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষা ও গবেষণায় একনিষ্ঠভাবে মনোনিবেশ করতে পারেন। এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় নিরুৎসাহিত হবেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি উক্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মাঝে সৃষ্ট ক্ষোভ ও অসন্তোষ নিরসনের দাবি জানিয়ে আরও বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের দীর্ঘদিনের দাবি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপনপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের মর্যাদাকে সমুন্নত করার জোর দাবি জানাই।