বর্তমান সময়ে বিজ্ঞানের সাফল্য এবং উৎকর্ষতায় পুরো বিশ্ব এগিয়ে গেছে অনেকদূর। তাদের নতুন নতুন আবিষ্কারের সুবিধা ভোগ করছে সারা পৃথিবীর মানুষ। এরমধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল ফোন। এই ফোন আমাদের জন্য যতটা সুবিধা বয়ে এনেছে, ঠিক ততটাই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশের আপামর জনসাধারণ এমনকি তরুণরাও পিছিয়ে নেই এর যথেচ্ছ ব্যবহারে। প্রযুক্তি নিশ্চয়ই মানুষের কল্যাণের জন্য কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলো,
আমাদের তরুণ প্রজন্ম আজকাল মোবাইলে এত বেশি সময় অপচয় করছে যে, তাদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ থমকে গেছে। সাহিত্য মানুষের মননকে বিকশিত করে। ভালো একজন মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করে। এরজন্য প্রচুর বই পড়া দরকার। যেহেতু বই কেনার প্রতি বর্তমান প্রজন্মের অতি অনাগ্রহ, তাই বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন সংগঠন উদ্যোগ নিয়েছে অন্তত কিছু তরুণদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করবে, যাতে তাদের মানসিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয় এবং মোবাইলের আশক্তি থেকে সরে এসে একজন সত্যিকারের সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সেলিম হাসান বলেন,
তরুণদের বইমুখী করতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন সংগঠনটির টিম। সংগঠণটির যাত্রা শুরু ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে একটি ফেসবুক গ্রুপ খুলার মাধ্যমে যেখানে আমাদের বর্তমান পাঠকদের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজারের কাছাকাছি। আমাদের নির্বাচন প্যালেন বই পড়ুয়া পাঠকদের সনাক্ত করে এরপর তাদের নিকটস্থ কুরিয়ারে মাধ্যমে বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আলহামদুলিল্লাহ! আমরা এখন অনেক সাড়া পাচ্ছি ইতোমধ্যে আমাদের দেশের পাঁচটি কলেজে স্বেচ্ছাসেবী শাখা তাঁদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
আজ থেকে সৈয়দ আহমেদ কলেজ সংগঠনের সেচ্ছাসেবী শাখা গঠন করা হয়।
সৈয়দ আহমেদ কলেজের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন–বই মানুষের পরম বন্ধু। অবসর সময়ে আমাদের বই পড়া উচিত। আর একটা বড় বিষয় হচ্ছে ভালো মানের পাওয়া। বই হোক হৃদয়ের স্পন্দন সেই কাজটাই করছে। আমাদের বিনামূল্যে বই পড়ার মহান সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আরও একজন শিক্ষার্থী, নাফিজ বলেন– এটা বেশ আনন্দের পাঠকদের কাছে যাঁর পছন্দের বইগুলো বিনামূল্যে পড়ার। যেহেতু আমরা শিক্ষার্থী বই কেনার টাকা পকেট মানি বাঁচিয়ে কিনতে হয়। এজন্য অনেক সময় বই কিনতে পারি না। বই হোক হৃদয়ের স্পন্দনকে ধন্যবাদ।সংগঠনটি জন্য শুভকামনা এভাবে এগিয়ে চলুন।