রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শফিউল আলম অভিযোগ করেছেন, তার পক্ষে জনসংযোগের সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা তার সমর্থকদের উপর হামলা করেছে বলে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
রোববার এবিষয়ে তিনি জেলা রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, রোববার উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পাটাধোয়াপাড়া এলাকায় তার সমর্থক বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (কারেন্ট আনোয়ার),সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনু সহ আরও কয়েকজন তার পক্ষে ভোট চান। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আরিফুল কবির তালুকদার রানা’র সমর্থকরা তাদের বাঁধা দেন এবং লাঞ্চিত করে। একপর্যায়ে তাদের উপর হামলা করেন। পরে ভোট চাওয়া বিরত রেখেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন শফিউল আলম এর তার অনুসারীরা।
এ ঘটনা জানার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল আলম দশ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে।
অপর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আরিফুল কবির তালুকদার রানাও লিখিত অভিযোগ করে বলেন, মোহনগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (কারেন্ট আনোয়ার) তার এলাকার ভোটারদের স্থানীয় সংসদ সদস্যর কথা বলে ভোটারদের প্রভাবিত করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে রাজীবপুর উপজেলা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার লিটু আহমেদ দুই প্রার্থীকে ডেকে তাদের অভিযোগ শোনেন এবং পরে তাদের দুজনের কাছে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে নিয়ম অনুয়ায়ী ভোটের জনসংযোগ পরিচালনা করার নির্দেশ দেন এবং জনসভা ও মিছিল করার আগে অনুমতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।
এবিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন,
কাউকে হুমকি দেওয়া, ভোট চাওয়ায় বাঁধা প্রদান নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজীবপুর উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোন অনিয়ম হলে কাউ কেউ ছাড় দেয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে রাজীবপুর উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।