বিয়ের প্রতি অনিহা কেবল অবৈধ সম্পর্ক কিংবা লিভ টুগেদারকে প্রোমোট করে। মেডিক্যাল সাইন্স অনুযায়ী, পরিণত বয়সে জৈবিক চাহিদা সব মানুষের মাঝে প্রাধান্য বিস্তার করে; যদি সেই ব্যক্তিটি নারী বা পুরুষ হয়।
সামাজিকতা ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অজুহাত দিয়ে নতুবা ভিন্ন কোন দীর্ঘসূত্রিতার অবতারণা করে বিয়ের মতো বৈধ ও মানসিক সৌন্দর্যকে এড়িয়ে চলা যায়।
তবে বিয়ে করাতে সৃষ্টিকর্তার ঐশ্বরিক রহমত ও জীবনের প্রশান্তি বিদ্যমান। বাহানা দিয়ে বিয়ের সম্পর্ককে এড়িয়ে চলার মাঝে যৌক্তিক কোন কারণ নেই। অযোগ্যতা ও ভুলকে ঢাকতে কিছু মানুষ প্রাণান্ত অযৌক্তিক যুক্তি দাঁড় করাবে এটাই স্বাভাবিক।
যদি বলা হয়, বয়স হবার পরেও কেউ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রেখেছে তাহলে সে হয় নিখাদ খাঁটি ধর্মীয় অনুশাসনের বেড়াজালে আবদ্ধ নয়তো পুরুষত্ব বা নারীত্ব তার মাঝে নেই।
বিয়ে সময়ের ওপর ডিপেন্ড করে করতে হয় না, বিয়েটা নিজের চরিত্র হেফাজত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে করতে হয়। জৈবিক চাহিদা যখন থেকে নিজেকে প্রচন্ড ভাবে তাড়িত করবে তখনই বিয়ে করা উচিত। অর্থাৎ মেডিক্যালি ফিট, পরিণত বয়স এবং চলার মতো স্বাভাবিক অবস্থা থাকলেই বিয়ে করাটা যথোপযুক্ত।
মনে করেন, একজন বিয়ে করে কয়েকদিন বা কয়েক বৎসর পর তার ডিভোর্স হয়ে গেলো তখন কাকে দায়ী করবেন? সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ধারণ হয়। ডিভোর্স হবে বলে কেউ বিয়ে করবে না বা ভরণপোষণের বিলাসিতা না থাকলে যে কেউ সন্তান নিবে না বিষয়টা এমন নয়।
প্রয়োজনীয় অভাব পূরণ করার মাধ্যমে বিয়েটাকে সহজ করে নেওয়া উচিত। আজকাল মানুষজন বিবাহ সম্পর্ককে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দোহাই দিয়ে কঠিন করে ফেলছে, অপরদিকে কৌশলে অশ্লীলতা ও অবৈধ সম্পর্ক মহামারির মতো বিষ্ফোরিত হচ্ছে।