মঙ্গলবার (১৪ই মে) রাত ৯ ঘটিকার সময় গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ জড়িয়ে পরে হাতাহাতিতে অবশেষে কঠিন মারামারিতে রূপান্তরিত হয়।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী বিজয়ী ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত-১,গুরুতর আহত ৫। গুরুতর আহত রয়েছে আরো অনেকে। তারা বর্তমানে কিছু লোক চিকিৎসাধীন রয়েছে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে।
চন্দ্রদিঘলিয়া লুটুল ভুঁইয়া এবং লিয়াকত ভূঁইয়া ২পক্ষে মারা মারি সংঘর্ষে জড়ায় গ্রামের লোকজন। গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা নির্বাচন শেষ হয় গত ৮ই মে।
উপজেলা নির্বাচনে একই এলাকা থেকে প্রার্থী ছিল লুটুল ভুইয়া ও লিয়াকত ভূঁইয়া। এলাকার লোকজন দুই পক্ষেরই নির্বাচন করছিল সমন্বয়ভাবে। দুই প্রার্থীর মাঝে লুটুল ভাঁইয়া বিজয় লাভ করলে পরাজিত হয় লিয়াকত ভুঁইয়া।
যুগ বদলাইছে তাই গ্রামকেন্দ্রিক মারামারির সরঞ্জামাদিও বদলাইছে। আগে ব্যবহার হতো রানদা,ঢাল সোরকি,হাত এখন ব্যবহার হয় পিস্তল/অস্ত্র। কথার আগে চলে তাই সবাই এটাকেই ব্যবহার করে। চন্দ্রদিঘলীয়া ইউনিয়নে মারামারি ছিল না তবে উপজেলা নির্বাচনে একই ইউনিয়ন/একই গ্রামে দুই প্রার্থী হওয়াই সবাই ধারনা করেছিল ইউনিয়নে মারামারি বৃদ্ধি পাবে। সেই মারামারির প্রতিফলন হইছে।
শেষমেষ কথাটা এমন হয়ে গেল যে,রাজারা রাজারা যুদ্ধকরে উলুখাগরার প্রান কাড়ে।