রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় নিখোঁজের ৪দিন পর হাত বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। নয়ন (২০) নামে ওই যুবক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালাতেন।
শনিবার (১৮ মে) বেলা ২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনি পক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গত ১৪ মে নিখোঁজের ওই রাতে ডেমরা এলাকা থেকে তার অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছিলো। তবে তখন রিকশাটির ব্যাটারি ও কিছু সরঞ্জামাদি খোয়া গিয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান জানান, শনিবার দুপুরে খবর পেয়ে যাত্রাবাড়ী থানাধীন একটি প্রজেক্টের ভেতরে বাউন্ডারি দেয়া প্লটের মধ্যে তার মরদেহ দেখা যায়। রশি দিয়ে তার হাত আর কাপড় দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিলো। মৃতদেহে কিছুটা পঁচে গেছে ও পোকা ধরেছে। পরবর্তিতে সিআইডির ক্রাইসিনকে খবর দেয়া হয়। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ধারণা করে হচ্ছে, ঘটনাটি কয়েকদিন আগে ঘটেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে নিহত নয়নের মা রিনা আক্তার জানান, নয়নের বাবার নাম মো. বাবুল। তাদের বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেবলনগর গ্রামে। বর্তমান যাত্রাবাড়ীর শেখদি এলাকায় থাকেন তারা। ৬ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে নয়নের। ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতো।
নয়নের মায়ের অভিযোগ, নিখোঁজের ১ সপ্তাহ আগে মৃধাবাড়ি-শনিরআকড়া রোডে ইজি বাইকের চালকদের সাথে নয়নের একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছিলো। আজ মরদেহ উদ্ধারের পর নয়নের দুই বন্ধু আলআমিন ও সাব্বিরের কাছ থেকে সেই মারামারির ঘটনা শুনতে পেরেছেন তিনি। মায়ের সন্দেহ, সেই মারামারির ঘটনার জের ধরেই নয়নকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। আর নয়নের বন্ধু আলআমিন ও সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানা যেতে পারে।