ছেলে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রাজশাহীর এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা (সিআইডি)। সেই শিক্ষকের বিষয়ে একটি তথ্য পেয়ে সিআইডির ‘ক্রিমিনাল ইন্টেলিজেন্স টিম’ তদন্ত শুরু করে। এরপর তার বিষয়ে একাধিক ছাত্র ও অভিভাবকের কাছ থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়।
রোববার (১৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। ওই শিক্ষকের বিষয়ে তাদের কাছ থেকেই তথ্য পাওয়া গেছে। এরপর ভুক্তভোগী ও তাদের অভিভাবকদের বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে ধরা হয়।
শনিবার (১৮ মে) রাজশাহী মহানগর মতিহার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হন ৩৩ বছর বয়সী সেই শিক্ষক। যিনি কাটাখালী উপজেলায় একটি স্কুলে পড়ান। এর আগে একটি কোচিং সেন্টারেও পড়াতেন।
বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, ১০ বছরের কম বয়সী ছাত্রদের মোবাইলে গেম খেলার সুযোগ করে দিয়ে নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে তা ভিডিও করে রাখতেন সেই শিক্ষক। এভাবে অন্তত ৩০টি শিশুর সঙ্গে যৌনাচার করে তা ভিডিও করে রাখেন তিনি। তার মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, কম্পিউটার এবং এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে বিপুল পরিমাণ নগ্ন ছবি, ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফির কন্টেন্ট পাওয়া গেছে।
সিআইডি জানায়, ছাত্রাবস্থায় এলাকায় একটি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন ওই শিক্ষক। তখন থেকেই কম বয়সী ছাত্রদেরকে চকলেট এবং মোবাইলে গেমস খেলার প্রলোভন দেখিয়ে সখ্য গড়ে তুলতেন। পরে শিশুদের ফুসলিয়ে তার কোচিং সেন্টার বা বাড়িতে, কখনো কখনো আশেপাশের আম-লিচু বাগানে নিয়ে যৌনাচার করতেন।
যৌন নিপীড়নের শিকার সবাই তার ছাত্র উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেফতারের পর সেই শিক্ষক জানিয়েছেন, অন্তত ৩০ জন ছাত্র তার দ্বারা নিপীড়নের শিকার হয়েছে। এ কাজ করতেই ছেলেদের জন্য আলাদা একটি কোচিং সেন্টারও চালু করেছিলেন তিনি।