ভারতের নির্ধারিত ৪০ শতাংশ শুল্কে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ ছয় দিন ধরে বিক্রি করা যায়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক ব্যাবসায়ী। খালাসের পর থেকে গুদামেই পড়ে রয়েছে পেঁয়াজ।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আহম্মেদ আলী বলেন, ‘দীর্ঘ পাঁচ মাস পর ১৪ মে হিলি দিয়ে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমরা মূলত পেঁয়াজ আমদানি করার পর বন্দর থেকে বিক্রি করি। তবে কাঙ্ক্ষিত দাম ও পাইকার না থাকায় পেঁয়াজগুলো গুদামে ফেলে রাখা হয়েছে। ছয় দিনেও কাঙ্ক্ষিত দাম বলছে না পাইকাররা। এতে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।’
আহমেদ আলী আরও বলেন, ‘ভারত সরকার যখন পেঁয়াজের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ভেবেছিলাম তাদের যে শুল্ক সেটা হয়তো প্রত্যার করে নিয়েছে। সে আশায় আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ কিনি। পরে জানলাম তারা তাদের শুল্ক প্রত্যাহার করেনি। কিন্তু এরআগেই বেশ কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ আমাদের কেনা হয়ে যায়। কিছু পেঁয়াজ ভারতে বিক্রি করলেও ১ ট্রাক পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। দেশে আনা পেঁয়াজের প্রতি কেজিতে ৬২ টাকার ওপরে খরচ পড়েছে।
এদিকে হিলি বাজারের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ থেকেও গুণগত মান ভালো।
মনিরুল ইসলাম নামে এক আড়তদার বলেন, ‘মাঝে দেশি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিলো। তবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা। যা গত কয়েকদিন আগেও ছিল ৭০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও অনেকটা বেশি।
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পেয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। চলতি বছরের ৪ মে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত