ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারি বর্ষণে পানিতে তলিয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী। জলাবদ্ধতার কারণে নগরী অভিজাত আবাসিক এলাকায় চলাচলের জন্য চালু করা হয়েছে নৌকা সার্ভিস।
নগরীর প্রবর্তক, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, দুই নাম্বার গেইট সহ বেশিরভাগ নীচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে কাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানুষ। অনেকটা বাধ্য হয়েই হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতেই চলাচল করতে হয় মানুষকে। পানির ভেতর গাড়ি নষ্ট হয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় চালকদেরও।
এদিকে, জলাবদ্ধতার হাত থেকেও পরিত্রাণ মিলেনি নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত পরিচিত পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা। হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে ডুবে যায় পুরো এলাকাটি। যাতায়াতের সুবিধার্থে সেখানকার বাসিন্দাদের জরুরি চলাচলের জন্য আবাসিক সমিতির উদ্যোগে নৌকা সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
কাতালগঞ্জ আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজি জসিম উদ্দিন বলেন, অল্প বৃষ্টিতে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে বন্দর নগরী। তার থেকে বাদ যাচ্ছে না আমাদের পাঁচলাইশ এলাকা। তাই বাধ্য হয়ে স্থায়ীভাবে একটি নৌকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই দুর্যোগে এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজনে বাসার বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই এই নৌকাটি কেনা হয়েছে।
নাজিম উদ্দৌলা নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, একটু ভারী বর্ষণ হলেই পুরো এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। প্রতিবছরই আমাদের জলাবদ্ধতা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে বাহিরে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে মহল্লা কমিটির উদ্যোগে এবার নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে যাদের জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয় তারা অন্তত এই সুবিধাটা ভোগ করতে পারবে। যেহেতু একটাই নৌকা তাই একসাথে সব মানুষ এই সুবিধা নিতে পারবে না, তারপরও কিছু মানুষ অন্তত তাদের অতি জরুরি কাজে ব্যবহার করতে পারবে।