1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

স্বপ্ন ফেরি করা বেরোবির “কমলাসুন্দরী”

সাজ্জাদুর রহমান; বেরোবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

হাজার হাজার শিক্ষার্থীর অনুভূতি, আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে, দাঁড়িয়ে আছে ৭৫ একরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। এই ভালোবাসার জায়গায় সৌন্দর্য, আবেগের অন্তরালে জায়গা দখল করে আছে নির্দিষ্ট গন্তব্যের ছুটে চলা, বেরোবির কমলা রঙের ফেরিওয়ালাগুলো।

শিক্ষার্থীদের অনেকেরই বড় একটি সময় কাটে এ বাসে বসে। বাসযাত্রার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বহু স্মৃতি। বাসে উঠলেই বোঝা যায় শিক্ষার্থীদের ঝোলায় গল্পের শেষ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেবদারু কিংবা বিজয় সড়ক সংলগ্ন কৃষ্ণচূড়া রোডে চোখ মেলে তাকালেই দেখা যায় কমলা রঙের বাসগুলো। সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা বাসগুলোর সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। তাদের এই আনন্দ বলে দেয় কমলা সুন্দরী তাদের কত আপন,চিরচেনা

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি বাস পাঁচটি রুটে চলাচল করে। প্রতিটি রুটে বাসের রয়েছে আলাদা নাম ও নম্বর। নামগুলো হলো-একুশে, তিস্তা, শতরঞ্জি, শ্যামাসুন্দরী, জলেশ্বরী, পদ্মরাগ ও চর্যাপদ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের এ আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বন্ধু-বান্ধবী মিলে শহরে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ টিউশন, কেনাকাটা, অন্যান্য দরকারি কাজের জন্য বাসে উঠে নানা গন্তব্যে ছোটেন। বাসে ওঠা নিয়ে চলে শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা। কেউ জায়গা না পেলেও গাদাগাদি করে যান যেন কমতি নেই ভালোবাসার। এসবের মধ্যে যেন আলাদা এক ভালো লাগা, আনন্দ রয়েছে।

সারা দিনের ক্লাস শেষে ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরার পথে এই বাসই হয়ে উঠেছে নতুন স্বপ্নের অনুপ্রেরণা। আবার সাক্ষী হয় স্বপ্নভঙ্গেরও।

সাধারণ মানুষের কাছে এই কমলারাঙা বাসগুলো হয়ত শিক্ষার্থী বাহন। কিন্তু, বেরোবির শিক্ষার্থীদের কাছে এ বাস যেমন অনেক আপন, তেমনি ঘরে ফেরার বিশ্বস্ত মাধ্যম।
সকালবেলা বাসগুলো যখন ছেড়ে যায়, তখন যেন এক অন্যরকম সৌন্দর্য ধারণ করে।। কমলারঙের বাসগুলোর অবিরাম গতিতে ছুটে চলা যেন আকাশের সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছুটে চলে।

 

‘কমলা সুন্দরী’কে নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলুল হক বলেন,
ভার্সিটির বাস পুরোটাই একটা আবেগ বলব, অথবা স্বপ্ন বলব। যাতায়াত ফ্রি, এটার চাইতেও বড় কথা যখন আমরা যাতায়াত করি তখন রাস্তায় হাজারো বাস থেকে আমাদের বাস কে আলাদা করা যায়, শুধু ক্যাম্পাসের নামে। বাস থেকে নামতে বা উঠতে নিজেকে আলাদাই মনে হয়। বাসের জানালায় যখন শহর দেখি, মনে হয় পুরো শহর জানে আমি কে বা আমরা কে! আত্ববিশ্বাস বা গর্ব হয়, সবার তো এই সুযোগ হয়না। শিক্ষা জীবনে এই‌ প্রথম পরিবহন সেবা পাচ্ছি নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে, এটা আমাকে অনেক আত্ববিশ্বাসী করে।

বাংলা বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ চন্দ্র বর্মন বলেন,

বেরোবির এই বাসগুলো শুধুই যাতায়াতের জন্য পরিবহন নয়,এই বাসগুলো বেরোবির প্রতিটি শিক্ষার্থীর রঙ্গিন অনুভূতি। বেরোবির এই ফেরিওয়ালা বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। বেরোবিতে ভর্তি হওয়ার পর প্রথম দিনেই বাসের সাথে ছবি তুলতে হবে এটা একটা ট্রেন্ড।আমিও প্রথম দিনেই ছবি তুলেছিলাম।প্রতিটা নতুন শিক্ষার্থীর মাঝে এটা কাজ করে যে এটা নিজের ক্যাম্পাসের বাস।বেরোবির এই বাসগুলো শুধু বাস নয়,এটা আমাদের অন্তরের প্রশান্তির একটি বাহনও বটে।এটা আমাদের আবেগ,আমাদের গর্ব।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর