নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে ১০১ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি।
রোববার (০৯ জুন) দুপুরে নওগাঁ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান প্রেস ব্রিফিংএ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন, মোঃ সুমন বাপ্পি (৩৫) এবং মোঃ টুয়েল মন্ডল (৫৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান প্রেস ব্রিফিংএ জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রশিদুল হকের দিক নিদের্শনায় বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে মোঃ গাজিউর রহমান পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ হাশমত আলী ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা, নওগাঁ সহ সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরে মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটিতে রওনা করেন। এরপর নিয়ামতপুরের ছাতড়া বাজার এলাকায় অভিযানে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নিয়ামতপুর থানাধীন সান্তোষপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোকলেছার এর পুকুরের আশেপাশে একটি কাভার্ট ভ্যানযোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে স্থানীয় মোঃ ইসকেন্দার মিয়াসহ কিছু লোকের নিকট হস্তান্তরের জন্য যাচ্ছে।
উক্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই করার জন্য অফিসার ও ফোর্স উক্ত স্থানের আশেপাশে গোপনে অবস্থান করাকালে রাত ১২ টার দিকে চন্দননগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সান্তোষপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোকলেছার এর পুকুরের সামনে ছাতড়া বাজার হতে সান্তোষপাড়া গামী পাকা রাস্তার উপর পৌছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০/১২ জন ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ সুমন বাপ্পি (৩৫) এবং মোঃ টুয়েল মন্ডল (৫৫)’কে আটক করা হয়। বাকী ৮-১০ জন ব্যক্তি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এরপর সেখানে উপস্থিত সাক্ষী ও অন্যান্য লোকজনের সামনে ধৃত আসামীদ্বয়ের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। ধৃত আসামীদ্বয়কে পলাতক আসামীর নাম ঠিকানার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলাতক আসামীদের নাম মোঃ ইসকেন্দার মিয়া (৩৯), মোঃ আক্তারুল ইসলাম (৪৪), মোঃ মামুনুর রশিদ (৫৫), মোঃ আল হেলাল (৫৫),বলে জানায়।
ধৃত আসামীদ্বয়কে তাদের পালানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় এবং তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তাতে সন্দেহ হলে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে তল্লাশীর যথাযথ নিয়মে ধৃত আসামীদের দেহসহ কাভার্ট ভ্যানটি তল্লাশী করা হয়।
তল্লাশীকালে ধৃত আসামীদ্বয়ের স্বীকারোক্তি ও নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে উদ্ধারকৃত আলামত ০১ কাভার্ট ভ্যানের পেছনের কাভার্ট অংশের ভেতরে রক্ষিত ০৪টি পাটের বস্তা, যার মধ্যে ০২টি বস্তায় ০৯টি করে ১৮ পোটলা এবং ০২টি বস্তায় ৮টি করে ১৬ পোটলা সর্বমোট ৩৪ (চৌত্রিশ) পোটলা অবৈধ নেশা জাতীয় মাদকদ্রব্য শুকনো গাঁজা। যার প্রতিটি পোটলা খাকি রংয়ের কসটেপ এবং পলিথিন দিয়ে মোড়ানো। উদ্ধারকৃত গাঁজা পরিমাপ ১০১ কেজি। যার মূল্য আনুমানিক বিশ লক্ষ বিশ হাজার টাকা।
আসামিদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর হাসপাতালে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয় এবং আসামীদ্বয়কে আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।