Tags: কুড়িগ্রাম, পানি হু হু করে বাড়ছে
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পানিতে কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে সীমান্ত ঘেঁষা জিঞ্জিরাম, ব্রহ্মপুত্র ও সোনাভরি নদ-নদীর আশঙ্কাজনক হারে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা এবং গ্রামের পর গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে নদ-নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের দুই শতাধিক গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে ঘর-বাড়ি, বসতভিটা আবাদি ফসলসহ নানা স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা ক্যাম্পাস প্লাবিত বিস্তীর্ন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অধিকাংশ পরিবারে পাঁচ দিন ধরে চুলা জ্বলছে না। এছাড়া শত শত একর জমির পাট, তিল, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে চলে যাচ্ছে। এতে করে চরম আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অপরদিকে গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দিশেহারা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কোদালকাটি বাসিন্দা হাফেজ মমিনুল ইসলাম জানান, অনেক গাছপালা নষ্ট ও পুকুরের মাছ চলে গেছে। গ্রামের আরো অনেকেই জানান, তাদের ঘরে খাবার নেই, শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি প্রয়োজন।
রাজিবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিরন মো. ইরিয়াস জানান চেয়ারম্যান বলেন, এই খারাপ পরিস্থিতিতে সরকারী অনুদান দরকার ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ জানান, “বন্যা ও নদী ভাঙ্গন এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রশাসনিকভাবে সাময়িক প্রস্তুতি নিয়েছি। অতি দ্রুত দুর্গম এলাকায় অসহায়দের জন্য কিছু ত্রাণ সামগ্রী, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি পৌছে দেয়া হবে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘণ্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।