ইসলাম সব সময় ভ্রাতৃত্বের শিক্ষা দেয়। অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসা ইসলামে অন্যতম ইবাদত। আল্লাহ যাকে অর্থ-সম্পদ দিয়েছেন তিনি সে সম্পদ থেকে অসহায় মানুষকে সাহায্য করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন।
‘রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেন, যে তার বান্দাদের প্রতি দয়া করে।’ (বোখারি, হাদিস : ১৭৩২)
মহানবী ﷺ আরও বলেন, ‘সব মুমিন দেহের মতো। যখন তার চোখে যন্ত্রণা হয়, তখন তার পুরো শরীরই তা অনুভব করে। যদি তার মাথাব্যথা হয়, তাতে তার পুরো শরীরই বিচলিত হয়ে পড়ে।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৮৬)
এবং আল্লাহ তায়ালা কুরআনে এরশাদ করেন, ‘মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।’ (সূরা হুজরাত, আয়াত : ১০)
কোন মানুষ অসহায় বিপদের সম্মুখীন হলে অপর ভাই তার সাহায্যে এগিয়ে আসবে এটা মুমিনদের কর্তব্য। তাছাড়া দুনিয়াতে কোনো মানুষের পক্ষে একাকী বাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। কোনো মানুষ যখন কোনো বিপদের সম্মুখীন হয় নির্যাতিত হয় সর্বহারা হয়ে পড়ে, তখন সে সবচেয়ে বেশি অসহায়ত্ব অনুভব করে। ওই সময় সে আন্তরিকভাবে অন্যের সাহায্য প্রত্যাশা করে। মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য এমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
‘ রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি দুনিয়ায় অপরের একটি প্রয়োজন মিটিয়ে দেবে, পরকালে আল্লাহ তার ১০০ প্রয়োজন পূরণ করে দেবেন এবং বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৬)
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আজ পৃথিবীতে সেই মানুষেরই একটা অংশ বাংলাদেশে বন্যায় নিঃসঙ্গ সহায়হীন হয়ে যাওয়া ভাই-বোনেরা। তারা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের দুর্বল ও অসহায় এই সময়ে সাহায্য-সহযোগিতা করা মুসলিম হিসাবে আমাদের অন্যতম কর্তব্য।
প্রিয় ভাই- বোনেরা, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য হৃদয় কাঁদলে এগিয়ে আসেন বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত।