রাওয়ালপিন্ডিতে পঞ্চম দিনে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশের বোলাররা। সকালের সেশন শেষ হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের ৫ ব্যাটারকে। বাংলাদেশ পেয়ে গেছে পাকিস্তানি ব্যাটারদের লেজের দেখা। উইকেটে একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার আগের ইনিংসে ১৭১ রানে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০৫ রান। উইকেটে আছেন রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ১১ রানে পিছিয়ে পাকিস্তান।
এদিন ১ উইকেটে খরচায় ২৩ রানে ব্যাট করতে নেমে সকালের সেশনে আরও ৫ উইকেট খুইয়েছে পাকিস্তান। অধিনায়ক শান মাসুদের পর ফিরে গেছেন বাবার আজম ও প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা সৌদ শাকিল। এদিন শাকিলকে রানের খাতায় খুলতে দেননি সাকিব আল হাসান। আর তাতে করে কঠিন চাপে পড়ে পাকিস্তান।
পরে শফিককে নিয়ে ব্যাট হাতে চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন রিজওয়ান। তবে শফিক তাল মেলাতে পারেননি। সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ৩৭ রানে ফিরেন এই ব্যাটার। এরপর আঘা সালমানকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ওপর চেপে বসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশ পেয়ে যায় পাকিস্তানি ব্যাটিংয়ের লেজের দেখা।
এর আগে চতুর্থ দিনে মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুরন্ত। লিটন আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ৪ রান যোগ করতেই ধরেন সাজঘরের পথ। ৫৬ রানে তাকে সাজঘরের পথ চেনান নাসিম শাহ।
এরপরই সপ্তম উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফেরার আগ পর্যন্ত এই জুটিতে যোগ হয় ১৯৬ রান। এর সিংহভাগ রান আসে অল্পের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি মিস করা মুশফিকের ব্যাটে।
মিরাজও পিছিয়ে ছিলেন না। দলের নবম ব্যাটার হিসেবে যখন সাজঘরের দিকে হাঁটা ধরেন মিরাজ, তখন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৭৭ রান।
মুশফিক-মিরাজ-লিটন এবং তৃতীয় দিনে সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাকিস্তানের ৪৪৮ রান টপকে বাংলাদেশ পৌঁছায় ৫৬৫ পর্যন্ত। লিড পায় ১১৭ রানের।