জগদল কলেজে ডিগ্রি আনতে দীর্ঘদিন দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও বারবার ব্যার্থ হয়েছে এলাকাবাসী।
এটি দিরাই উপজেলা জগদল উনিয়নে অবস্থিত। এটি স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালে।এলাকাবাসী জানান যে ডিগ্রি বিভাগ চালু হলে জগদল ইউনিয়ন বাসির শতশত শিক্ষার্থীরা যাতায়াতসহ অসংখ্য ভোগান্তি থেকে বেঁচে যাবে এবং তার সাথে সাথে শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাবে। এলাকাবাসীর মতামত অনুযায়ী জগদল কলেজর পরে অনেক কলেজ স্থাপিত হওয়ার পরেও তারা ডিগ্রি আনতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু কলেজ পিন্সিপালের কাছে এলাকাবাসী দাবি জানালে এখনও পর্যন্ত ডিগ্রি আনতে কোন হদিস মেলেনি।অথচ কলেজে একাধিক ভবন ও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আসন সংখ্যা রয়েছে।এলাকাবাসী আরো জানান যে কলেজ পিন্সিপাল তিনি তিন তিনবার দিরাই উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কলেজ পিন্সিপাল নির্বাচিত হওয়ার পরেও জগদল কলেজে ডিগ্রি আনতে ব্যার্থ এবং কলেজে গেলো বোর্ড পরিক্ষায় পাসের হার ৩৯.৪৭ ভাগ। যা দিরাই উপজেলায় সর্বনিম্ন ফলাফল। তাহলে কিভাবে তিনি শ্রেষ্ঠ পিন্সিপাল নির্বাচিত হলেন? – তা এখন এলাকাবাসীর দাবি।
তাই জগদল কলেজর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছে জগদল কলেজ এবার ডিগ্রি হবে না হয় পিন্সিপালের পদত্যাগ এটা তাদের সময়ের দাবি। তাই আজ (২৮ আগস্ট বুধবার) সকাল ১১টায় ছাত্রজনতা ও অভিভাবকসহ সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কলেজে তাদের দাবি নিয়ে উপস্থিত হলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে পিন্সিপাল স্যার গত ১৪ আগস্ট হতে কলেজে অনুপস্থিত।
তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে অনুপস্থিতির কোন কারণ জানা যায়নি।দাবিকৃত ছাত্রনতা ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন যে পিন্সিপাল কলেজে না আসার কারণে উনার দুর্বলতা জানান দিচ্ছে।সবার আগে এটা জানা প্রয়োজন যে কোন ধারাবাহিকতার কারণে কলেজে ডিগ্রি আনতে অপারগতা ও অতিবিলম্ব ঘটেছে তা এখন সবাই জানতে চায়। তাই জগদল কলেজে ডিগ্রি বিভাগ চালু করতে এটা তাদের সময়ের দাবি।