Tags: মানববন্ধন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার জামালদী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোসেন্দী বাজার পর্যন্ত এস.ডি খাঁন সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে বেহাল দশা ও জামালদী স্কয়ার ইলেকট্রনিকস কারখানা সংলগ্ন খালের উপর ও লস্করটি তৈয়ব আলী শাহর বাড়ি সংলগ্ন খালের উপর মোট দুটি ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীর গতি হওয়ার জন্য জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।
এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ ও রাস্তা সংস্কারের দাবীতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন গজারিয়া উপজেলার ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী।
শনিবার (৭সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হোসেন্দী বাজার থেকে মিছিল নিয়ে জামালদী বাস স্ট্যান্ড গিয়ে শেষ হয়। পরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে মানববন্ধন করে আন্দোলন কারীরা। দাবি মোদের পরিস্কার রাস্তা হবে সংস্কার এই ধরনের নানা রকম স্লোগানে দাবি আদায়ের কথা বলেন তাঁরা।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম মুন্না,ইমরান হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান এই রাস্তায় গত ৩ বছর যাবত ২ টি নির্মান কাজ চালাচ্ছে ২টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিন্ত দুঃখের বিষয় হলো তাঁরা এত ধীর গতিতে ব্রিজ নির্মান করতেছে এতে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। তাছাড়া এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে হোসেন্দী ইউনিয়নের কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পন্য সামগ্রি বহন করা, দিনে কয়েকশত লরি, ট্রাক আসা যাওয়ার ফলে প্রায় জ্যাম যট সৃষ্টি হয় এতে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসময় অপচয় হয়।
তাছাড়া অসুস্থ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিতে গিয়েও ভাঙ্গাচুরা রাস্তা এবং জ্যাম যটে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকার কারণে চরম বিপত্তিতে পড়তে হয়। তাই প্রশাসন কর্তৃক সময়উপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জন দূর্ভোগ নিরশনে কাজ করার দাবিও জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
উল্লেখ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর গজারিয়া প্রান্তের পূর্ব ঢালের জামালদী বাস স্ট্যান্ডের এস.ডি খাঁন সড়কের শুরুর আনুমানিক এক কিলোমিটার দূরত্বে স্কয়ার ইলেট্রনিক্স কারখানা সংলগ্ন খালের ওপর জান্নাত কনস্ট্রাকশন সাড়ে ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৪৫ মিটার দের্ঘ্য ও প্রায় পৌণে দশ মিটার প্রন্থের সেতুটি ও একই সড়কের লস্করদী প্রয়াত তৈয়ব আলী শাহ এর বাড়ির পাশের খালের ওপর নির্মিয়মান ২৫ মিটার দের্ঘ্যের একই পরিমাপ সেতুটি ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ পেয়েছেন সানটেক্স কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জামালদী খালের উপর নির্মিয়মান ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির আনুমানিক ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেও তেয়ব আলী শাহ এর বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর নির্মিয়মান সেতুর কাজের দৃশ্যমান কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া সেতুর পাশে অস্থায়ী বিকল্প পথ হিসাবে নির্মিত ডারভাইশন পথ দুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও চলতি বর্ষা মৌসুম ও বৃষ্টির কারণে ওই দুটি ডারভাইশন পথ মরণে ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রায় প্রতি দিন সংঘটিত হচ্ছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।