1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশ্বাস, আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশ্বাস, আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের হাটহাজারিতে যানযট নিরসনে অভিযান।  চবিতে ড.ইয়াহ্ইয়াকে সাময়িক উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি।  রাউজানে হেফাজতে ইসলামের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত।  গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা মামলার আসামি শেখ সেলিমসহ ১৬১৮ জন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজশাহীতে স্বস্তিতে সমাবেশ করলো বিএনপি  আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইদে মিলাদুন্নবি উদযাপন  মুন্সীগঞ্জে ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ! মোজাম্মেল বাবু ও শাহরিয়ার কবির ৭ দিনের রিমান্ডে

পাবনায় ৩৩ হাজার পাওয়ারলুম বন্ধ

আমার কথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Tags:

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে পাবনা জেলায় বিদ্যুৎচালিত তাঁত (পাওয়ারলুম) কারখানাগুলোতে কাপড় উৎপাদনে ধস নেমেছে। এদিকে তাঁত উপকরণ সুতা, রংয়ের দাম বৃদ্ধি ও তাঁত বস্ত্রের চাহিদা কমে যাওয়ায় অব্যাহত লোকসানে প্রায় ৩৩ হাজার বিদ্যুৎচালিত তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় দেড় লাখ তাঁতি, শ্রমিক ও জোগালি। বেকার শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেছে।
বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের পাবনা ও সাঁথিয়া বেসিকসেন্টর সূত্রে জানা গেছে, পাবনা তাঁত-সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত। ২০০৩ সালের তাঁত বোর্ডের জরিপ অনুযায়ী এ জেলায় বিদ্যুচালিত পাওয়ারলুম ও চিত্তরঞ্জন তাঁতের সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। পাবনা সদর, সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া ও ফরিদপুর উপজেলায় তাঁতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

তঁাঁতপ্রধান এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, তাঁতিপাড়ায় আগের মতো খট খট শব্দ নেই। তঁাঁত শ্রমিকদের মলিন মুখে ক্ষোভ ও হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে। বিদ্যুৎচালিত তাঁত কারখানাগুলোতে সুতা তৈরি, রং দেয়া, সুতা শুকানো, নলিভরা ও কাপড় উৎপাদনে প্রতি তাঁতে গড়ে তিন-চারজন নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। এ তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় সাত লাখ শ্রমিক পরিবারের ত্রিশ লাখ নারী-পুরুষের জীবন-জীবিকা। অনেক ক্ষুদ্র তাঁতি, নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজের সন্ধানে চলে গেছেন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, চিটাগাংয়ে। সেখানে কেউ গার্মেন্টে, কেউ রিকশা-ভ্যান চালিয়ে জীবিকানির্বাহ করছেন।

 

পাবনার জালালপুরের তাঁত শ্রমিক আবুল হোসেন জানান, দিনে তিন-চারটি শাড়ি তৈরি করা যেত। এখন সারা দিনে দু’টি শাড়ি তৈরি করা কঠিন। সোনাতলা গ্রামের রহম আলী ও আব্দুল কদ্দুস বলেন, আগে একজন শ্রমিক সপ্তাহে তিন-চার হাজার টাকার কাজ করত। এখন এক-দেড় হাজার টাকার কাজ করা হচ্ছে।
শাহজাদপুর হাটে পাইকারি কাপড় বিক্রেতা সান্যালপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁত শিল্প খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। আগে শাহজাদপুর হাট থেকে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা, চিটাগাং, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা চার-পাঁচ ট্রাক শাড়ি লুঙি কিনে নিয়ে যেত। আর এখন এক দুই ট্রাক কাপড় কিনছেন।

বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড পাওয়ারলুম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বলেন, লোডশেডিংয়ে অধিকাংশ সময় কাপড় উৎপাদন বন্ধ থাকছে। যতটুকু কাপড় তৈরি করা হচ্ছে, তা বিক্রি করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রায় তিন লাখ পাওয়ারলুম আছে। এর মধ্যে দু’টি জেলায় লক্ষাধিক পাওয়ারলুম (বিদ্যুৎচালিত) বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে ৫ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে তঁাঁত কারখানা চালানো এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

 

তাঁত শিল্পকে কেন্দ্র করে এনায়েতপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, আতাইকুলা চারটি কাপড়ের হাট গড়ে উঠেছে। হাটগুলোতে অবস্থিত ব্যাংক, কাপড় ব্যবসায়ী ও তাঁত মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এনায়েতপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, আতাইকুলা হাটে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে ছয় দিন কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাপড় ব্যবসায়ীরা এ হাটে এসে শাড়ি, লুঙি, গামছা ক্রয় করে থাকেন। প্রতি হাটে ব্যাংক ও নগদসহ শত কোটি টাকার লেনদেন হতো। বর্তমানে লেনদেন প্রায় ৭৫ শতাংশ কমে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর