নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ২০১৩সালে ১৪ই ডিসেম্বর জামায়াত শিবিরের ৪ জন নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান আসামী করে ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে নিহত সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মোঃ আমিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী চীফ জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর ২নম্বর আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ ইকবাল হোসেন মামলার অভিযোগ গ্রহণ করে মামলাটি রেকর্ড করতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী নোয়াখালী জেলা বারের সভাপতি এ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া। কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। মামলায় ২য় আসামী করা হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। আরও আসামী করা হয়েছে কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, ভাগ্নে ফখরুল ইসলাম রাহাত, মাহবুব রশিদ মঞ্জু ও মিরাজ হোসেনকে। এছাড়াও মির্জার ঘনিষ্ঠ সহযোগি তৎকালীন সময়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুজ্জামান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম, এসআই শিশির বিশ্বাসসহ ১৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩সালে ১৪ই ডিসেম্বর বিকেলে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মীরা।
এসময় আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগিরা অস্ত্র হাতে মিছিলে গুলি করে। ঘটনাস্থলে ৪ জনের মৃত্যু হয়। মামলার বাদী মোঃ আমিরুল ইসলাম জানান, আমি ও আমার ভাই সাইফুল ইসলাম জামায়াত ইসলামের সক্রিয় কর্মী। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচী হিসেবে আমরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ্রগহণ করি।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার সহযোগিরা ও প্রশাসনের গুলিতে আমার ভাইসহ ৪জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়। বসুরহাট পৌরসভা জামায়াত ইসলামের আমীর মাওলানা মোশারফ হোসাইন জানান, সেসময় মির্জা বাহিনীর গুলিতে আমার দলের ৭ জন নেতাকর্মী নিহত হয়। আজকে ৪ জনকে হত্যাকান্ডের কারণে মামলা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে আরও ৩ জনকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।