1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : নিজস্ব সংবাদ :
কোচিং বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষকদের বিরোধী ! - দৈনিক আমার কথা
সাম্প্রতিক :
নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের আশ্রয়ে ছাত্রলীগ  স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও সমাজে রয়েছে: রিজভী আন্তঃজেলা ডাকাত, অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৮ যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ করলো টিম “উন্নত মম শির” ইউনিয়ন পরিষদে বিলুপ্ত না করার দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় রাজশাহীতে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ছাত্র আন্দোলনকে জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে : জয় ঈদ ও পূজার ছুটি বাড়তে পারে, নতুন সিদ্ধান্ত আজ রাজস্থলীতে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ত্রান কার্য (চাল) এর ডিও বিতরণ গাইবান্ধায় দৈনিক কালবেলা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

কোচিং বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষকদের বিরোধী !

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :মুন্সীগঞ্জে কোচিং বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষকদের বিরোধের জেরে মুন্সীগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলে ঘটছে একের পর এক বিশৃঙ্খল ঘটনা। এসব ঘটনায় ব্যবহার করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

জানা যায়, মুন্সীগঞ্জে কোচিং বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে কিছু শিক্ষক সিন্ডিকেটের অপতৎপরতায় মুন্সীগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভর্নমেন্ট গার্লস হাই স্কুলে ঘটে যাচ্ছে একের পর এক বিশৃঙ্খল ঘটনা। শিক্ষকের পক্ষ-বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, শিক্ষককে হেনস্তা, চাপের মুখে শিক্ষকের বদলির আবেদন আদায় করার ঘটনা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

মূলত কোচিং বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষকরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ে পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে।

একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্য নিয়ে শিক্ষকদের বিরোধের ঘটনায় কিছু শিক্ষক তাদের পক্ষে-বিপক্ষে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছেন। কোচিং বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতেই শিক্ষকদের ইন্ধনে ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একের এক বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন কিছু শিক্ষক। তাই এ বাণিজ্যের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গ্রুপিং আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফ হোসেন, গফুর সরকার, রাসেল আহমেদ, আ. ন. ম. মাহফুজসহ একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে বিরোধের জেরে ২৯ জন শিক্ষক ১ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষক মনোরঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন।
এ ছাড়া একই দিন মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভসহ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দাখিল করে কিছু শিক্ষার্থী। এর প্রতিবাদে পরদিন ২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থীরা মনোরঞ্জনের পক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও সেনাক্যাম্পে পাল্টা স্মারকলিপি দেওয়াসহ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এতে জেলা প্রশাসক ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত চলাকালেই গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক সিন্ডিকেট সমর্থিত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে চাপে ফেলে মনোরঞ্জনের কাছ থেকে বদলির আবেদন আদায় করে নেয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোচিং বাণিজ্য নিয়ে বিরোধের জের ধরেই ‘মব জাস্টিসের’ মাধ্যমে মনোরঞ্জনকে হেনস্তা করেন প্রতিপক্ষ শিক্ষকরা। এ ছাড়া গত বছরের অক্টোবরে অপর এক শিক্ষকের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে ইন্ধন দিয়েছেন একই শিক্ষকরা।
তাদের সঙ্গে মাকহাটি জিসি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকও রয়েছেন। তারা আন্দোলনে তাদের নিজ নিজ কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেছেন। একইভাবে মনোরঞ্জনও তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়া শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টদের মতে, দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থাকার সুবাদে এবং অবাধ কোচিং বাণিজ্য করে অর্থবিত্তের মালিক হওয়ায় শিক্ষকরা এখন জড়িয়ে পড়ছেন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে পদক্ষেপ না নিলে সামনে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। শিগগির দুই গ্রুপের শিক্ষকদের এ বিদ্যালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত বলেও মনে করছেন অভিভাবক মহল।

এ বিষয়ে মনোরঞ্জন ধর বলেন, এটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। শিক্ষক আরিফ হোসেন ও গফুর সরকার এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। ফেসবুক মাসব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে তদন্ত কার্যক্রমকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারা এই মব জাস্টিস করেছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষক আরিফ হোসেন বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মনোরঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। এর সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এ ঘটনার সঙ্গে কোচিং বাণিজ্যেরও সম্পর্ক নেই।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরে আলম বলেন, গত ৪ আগস্ট শিক্ষক মনোরঞ্জন স্যার বিদ্যালয়ে ১টা পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো আসছে তা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত চলছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) রিফাত ফেরদৌস বলেন, আমরা দুই পক্ষে অভিযোগ পাওয়ার পর মাউশিতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। আরেক পক্ষে অভিযোগে তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন আবার মাউশিতে পাঠাবো।

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
  1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : সাব্বির আহমেদ :
Social Icons - দৈনিক আমার কথা
Daily Amar Kotha © 2024. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest