1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : নিজস্ব সংবাদ :
শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা - দৈনিক আমার কথা
সাম্প্রতিক :
নোবিপ্রবিতে ছাত্রদলের আশ্রয়ে ছাত্রলীগ  স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও সমাজে রয়েছে: রিজভী আন্তঃজেলা ডাকাত, অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৮ যবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষরোপণ করলো টিম “উন্নত মম শির” ইউনিয়ন পরিষদে বিলুপ্ত না করার দাবীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় রাজশাহীতে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ছাত্র আন্দোলনকে জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রণ করেছে : জয় ঈদ ও পূজার ছুটি বাড়তে পারে, নতুন সিদ্ধান্ত আজ রাজস্থলীতে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে ত্রান কার্য (চাল) এর ডিও বিতরণ গাইবান্ধায় দৈনিক কালবেলা’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

শিক্ষা ও শিক্ষকদের প্রত্যাশা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
মোঃ নুরুল হক,লেখক আইইউবিএটির ইংরেজির সহকারী অধ্যাপক এবং ইউপিএম—এর একজন পিএইসডি প্রার্থী।

বাংলাদেশ ১৯৯৪ সাল থেকে ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন করে আসছে। প্রতি বছর ৫ অক্টোবর শিক্ষকদের জন্য এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি করা এবং তাদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও তাদের অবদানের মূল্যায়নের জন্য এই দিবসটি যথার্থ একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং জনগণ যাতে শিক্ষকদের পক্ষে সমর্থন প্রদর্শন করে এবং আগামী প্রজন্মকে আদর্শ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদেরকে উৎসাহিত করা হয়, তা—ই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

 

শিক্ষকরা সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি জাতির ভবিষ্যৎ। বিশ্ব শিক্ষক দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, ১৯৬৬ সালে ইউনেস্কো এবং আইএলও—এর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই চুক্তিটি শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদাকে উচ্চস্থানে নিয়ে যায় এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকার গুরুত্ব বাড়িয়ে তুলে ধরে। এই চুক্তির আলোকে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, গুণগত শিক্ষার ব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের জন্য একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মাধ্যমে আমরা আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে শিক্ষকদের যেসব সমস্যা রয়েছে তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে পারি এবং তাদের পেশাগত উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নির্ধারণ করতে পারি। এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল “শিক্ষকের কণ্ঠকে মূল্যায়ন: শিক্ষার জন্য একটি নতুন সামাজিক চুক্তির পথে।” এই প্রতিপাদ্য মূলত শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও তাদের দায়িত্ববোধ পুনঃস্থাপনের আহ্বান জানায়। তবে শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যা সমাধানে কোনো গঠনমূলক পরিকল্পনা এখনো সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়নি। এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ শিক্ষকদের সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করা না গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নে আমাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা, বেতন এবং সুযোগ—সুবিধার যে উন্নতি হয়েছে, তার বিপরীতে বাংলাদেশের শিক্ষকরা এখনো অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে। অথচ, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষকদের উন্নয়ন ছাড়া গুণগত শিক্ষা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের মানসিক এবং পেশাগত উন্নয়ন অপরিহার্য।

  • বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের আর্থিক ও পেশাগত সমস্যার সম্মুখীন হন।
  • উদাহরণস্বরূপ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথাযথ বেতন কাঠামো এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইউজিসি—এর দ্বারা শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন কাঠামো নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
  • এছাড়াও, গবেষণা অনুদান, চিকিৎসা ভাতা, বিদেশে প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ বাড়ানো উচিত।
  • শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নের জন্য সরকারি অর্থায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া উচিত।

মাদ্রাসা শিক্ষকদের অনেকেই এখনও বেতনবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। অধিকাংশ মাদ্রাসা শিক্ষকদের পেশাগত প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় মাদ্রাসার শিক্ষকদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসাথে, বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চতর শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে। বর্তমানে কিছু মাদ্রাসায় অনার্স—মাস্টার্স চালু করা হলেও এর সংখ্যা সীমিত। মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য আরও বেশি গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ প্রদান করা উচিত।

শুধুমাত্র মাদ্রাসা নয়, ইবতেদায়ি এবং প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকদের সমস্যাও প্রকট। বর্তমানে দেশে প্রচুর সংখ্যক ইবতেদায়ি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো এখনও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে না। এইসব মাদ্রাসায় শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন এবং মানসম্পন্ন শিক্ষাদান নিশ্চিত করতে হলে সরকারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করতে হলে পেশাগত শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা এবং আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি করলে শিক্ষার মানও উন্নত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদেরও তাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদান করা উচিত। গচঙ শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান করা না গেলে শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন,

শিক্ষা ব্যবস্থা হলো একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণের মূল ভিত্তি। সেই ভিত্তিকে মজবুত করার জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু, আজকের দিনে শিক্ষকদের অবস্থান ক্রমশ অবনমিত হচ্ছে। শিক্ষকরা সমাজের মূল চালিকা শক্তি হলেও তাদের পেশাগত মর্যাদা প্রায়ই অবহেলিত থাকে। ফলে, জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে যারা প্রধান ভূমিকা পালন করছেন, তাদেরই স্বার্থ উপেক্ষিত থাকে।

শিক্ষকদের উন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই, বিশ্ব শিক্ষক দিবসের মূল প্রত্যাশা হলো—শিক্ষকদের পেশাগত সমস্যা সমাধান, তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সকল শিক্ষকদের উন্নয়ন ও মানবিক গুণাবলী বিকাশের মাধ্যমে একটি আলোকিত জাতি গড়ে তুলতে হবে।

মোঃ নুরুল হক

লেখক আইইউবিএটি—এর ইংরেজির সহকারী অধ্যাপক এবং ইউপিএম—এর পিএইচডি প্রার্থী।

 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
  1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : সাব্বির আহমেদ :
Social Icons - দৈনিক আমার কথা
Daily Amar Kotha © 2024. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest