জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, ‘এই দেশ সকলের, সকলের সমান অধিকার। আমরা যেনো এই অধিকার ভোগ করতে পারি, চাইতে পারি, দিতে পারি। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য। এটাই আপনাদের জানান দিতে চাই।
তিনি বলেন, ‘অধিকার সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি না, সরকারের প্রতিটি জায়গায় আপনাদের অংশগ্রহণ রয়েছে, দান-অনুদান রয়েছেন। আমরা যে বেতন পাই এই বেতনের উৎস কিন্তু আপনারা। আপনাদের টেক্সে আমাদের বেতন হয়। জনগণের চাকর হচ্ছি আমরা, অনেকে বলেন সেবক,
কিসের সেবক ? চাকর হচ্ছে- সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী।” তিনি বলেন, ‘সবার মধ্যে একটি উদ্দীপনা আসছে, সবাই মিলে দেশটা গড়ি। দেশ গড়ার জন্য আমাদের অলসতার সুযোগ নেই। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ৪৫ দিনে ৪৫ মাসের কাজ হয়েছে। রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়েছে। ড. মো. মোখলেস উর রহমান শারদীয় দূর্গা উৎসব সম্পর্কে বলেন- ‘আমাদের শারদীয় দূর্গা উৎসব কোলকাতার চেয়ে কোন অংশে কম নন। আমাদের আন্তরিকতা, সৌহার্দ ও সম্প্রীতি অনেক বেশি।
তিনি শুক্রবার রাতে মুন্সীগঞ্জের পূজামন্ডপ পরিদর্শন কালে শহরের কেন্দ্রীয় জয়কালীমাতা মন্দিরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির
ভাষণে একথা বলেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদিউজ্জামান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রশান্ত কুমার মন্ডল দুলাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন, মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ভবতোষ চৌধুরী নুপুর, সাধারণ সম্পাদক সুমন লাল ও কেন্দ্রীয় জয়কালীমাতা মন্দির দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় তালুকদার গৌতম। সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন পোদ্দারের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী জয়কালীমাতা মন্দিরের সভাপতি পবিত্র শঙ্কর চ্যাটার্জী কাজলের সভাপতিত্বে এসময় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক খোকন মজুমদারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় প্রধান অতিথি মন্দির উন্নয়নে দুই লাখ টাকার অনুদান ঘোষণা করেন।
এস/বিস