রাজধানীর শেওড়া পাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে দুই সাংবাদিককে আনসার সদস্য কর্তৃক লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।

সাংবাদিক হেনস্থায় অপ্রত্যাশিত এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে একাধিক সাংবাদিক ফোরাম‌।

সতিকসাসের সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে ২৯ আগস্ট(মঙ্গলবার) সভাপতি তাওসিফ মাইনুল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নিশাদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানিয়েছেন।

সতিকসাসের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিক হেনস্থা স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বে থাকা একজন সদস্য হয়ে এমন কাজ মোটেও শোভনীয় নয় ‌। দ্রত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে অভিযুক্ত আনসার সদস্যকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। একইসাথে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন(এমআরএ)।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে আমাদের সময়ের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আখতার ও সমকালের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মামুন সোহাগ মেট্রোরেলের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আনসার সদস্য দুই সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনেই তেড়ে আসেন। বুম কেড়ে নিয়ে ধাক্কা দিয়ে দুই সাংবাদিককে লিফটের ভেতরে ঢুকিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রুমে যেতে হবে বলে নিয়ে যান। এরপর দায়িত্বরত কর্মকর্তা আনসার সদস্যকে থামিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এই আনসারের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ এসেছে। ব্যবস্থা নেবো। অভিযুক্ত ওই আনসার সদস্যের নাম আছলাম সরদার। তিনি মেট্রোরেল স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হেনস্থার শিকার সাংবাদিক মামুন সোহাগ বলেন, অফিসিয়াল অ্যাসাইনমেন্টে আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে যাই ভিডিও স্টোরি করার জন্য। দুই বছর আগে এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে ভায়াডাক্টের ওপর চলে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখেছি মেট্রোরেলের টয়লেট ব্যবহারে টিকিট সিস্টেম শুরু হওয়াতে অনেক যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেক টেলিভিশন পত্রিকায়ও রিপোর্টও হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে এটা নিয়ে একটা প্রতিবেদন করতে গেলে বুম হাতে, ভিডিও করতে দেখেই আছলাম সরদার নামে এক আনসার সদস্য আমার ওপর দিকে তেড়ে আমার কাজের সামগ্রী কেড়ে নেয়। তারপর ধাক্কা দিয়ে লিফটের ভেতরে ঢুকিয়ে বলে- ‘যেতে হবে, বসেরা কথা বলবে। শুধু আমাকেই না, আমাদের সময়ের আক্তারুজ্জামানের কাঁধে ধাক্কা দিয়ে বলে এসব বাদ দেন। যা বলি তাই হবে।’