নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে ৩টিতে টাকার ছড়াছড়ি। নোয়াখালীর ৬ আসনের মধ্যে ৩টি ঘোষণার অপেক্ষায় বাকি ৩টিতে টাকার ছড়াছড়ি চলছে।
সরজমিন ভোটারদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, ৫,৬ ও ১ আসনে নৌকার বাইরে যারা ভোট করছেন তাদের পোস্টার ছাপাসহ প্রচার-প্রচারণায় সহযোগিতা করছেন নৌকার প্রার্থীরা। বাকি ৪,৩ ও ২ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টাকার ছড়াছড়ি ও বিরামহীন প্রচার-প্রচারণা চলছে।
এলাকাবাসী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, যেখানে আদালতের ১৯ হাজার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিদের প্রার্থীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ভাড়া করে ভোট ক্যাম্পিং করাচ্ছে সেখানে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বীরদর্পে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করছে সেখানে কিসের ভোট? কোম্পানীগঞ্জ-হাতিয়া-চাটখিল বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে সদর-বেগমগঞ্জ-সেনবাগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে ৩টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভোটে অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে দলের মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের।
তবে অপর তিনটি আসনে চাপমুক্ত রয়েছেন নৌকার প্রার্থী নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, নৌকার প্রার্থী নোয়াখালী-৬ আসনে দ্বীপবন্ধু মোহাম্মদ আলী ও নৌকার প্রার্থী নোয়াখালী-১ আসনে এইচএম ইব্রাহিম।
প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের পক্ষে-বিপক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান নিশ্চিত হতে শুরু করেছে। তবে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নোয়াখালী-৫ (কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ) আসনে চাপমুক্ত রয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের এই আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে রয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ব্যারিস্টার তানভীর নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
তবে জনপ্রিয়তায় উনি ভোটের মাঠে শীর্ষে অবস্থানে রয়েছেন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মুসফিক ও মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী ছড়ি মার্কা নিয়ে মাঠে রয়েছেন মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তার সঙ্গে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল মালেক উকিলের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন।
এ ছাড়া রয়েছেন জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী আবদুল আলীম। নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরণ। তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের ছোট ভাই মিনহাজ আহমেদ জাবেদ। এ ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ফজলে এলাহি সোহাগ।
নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে আওয়ামী প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। তার সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
এ ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তালেবুজ্জামান। তবে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য এইচএম ইব্রাহিম। ইব্রাহিমের এই আসন থেকে ২ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন মাঠে রয়েছে। তার চাটখিল গণসংযোগের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে বাচ্চু ।