পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, বাংলাদেশের একক বৃহত্তম তৈরি পোশাকের বাজার যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক রপ্তানি কমছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পোশাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা কমিয়েছে দেশটির ভোক্তারা। দোকানগুলোয় পুরনো পণ্য জমে গেছে। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটির খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি কমিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল অফিসের (ওটেক্সা) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে। রপ্তানি ২৫ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকেও একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে চীন থেকে পোশাকের চালান ২৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার ও ভিয়েতনাম থেকে ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। ভারত থেকে পোশাকের চালান ২১ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে ৪ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার ও পাকিস্তান থেকে ২৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতি হওয়ায় গত বছর সারা বিশ্বে মানুষ কম খরচ করেছে।
রপ্তানি কমেছে যুক্তরাজ্যেও : গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ কমেছে ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ওই সময়ে যুক্তরাজ্যে ১৭৮ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১৯৫ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন কেজি।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের পোশাক আমদানিতে আর্থিক মূল্যের দিক থেকে বাংলাদেশের অংশ ২৩ শতাংশ এবং পরিমাণের দিক থেকে ২৮ শতাংশ। মানে এ বাজারে আমাদের এখনো সুযোগ আছে। এখন পর্যন্ত আমরা খরচ, সময়মতো ডেলিভারি এবং মান ধরে রেখে আমাদের অবস্থান সুরক্ষিত করতে পেরেছি, যা যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রতিযোগিতায় আমাদের এগিয়ে রেখেছে।’