1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীতে তীব্র তাপদাহে মরিচ চাষ নিয়ে বিপাকে কৃষক ।।

মোঃ আরিফ হোসেন (বীরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি)
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

নীলফামারী জেলা জুড়ে তীব্র তাপদাহের কারণে মানুষের জীবনে যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনি প্রভাব পড়েছে ফসলী জমিতেও। কয়েক দিনের টানা প্রখড় রোদ ও তাপের কারণে কৃষকের মরিচ চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে।শুধু মরিচ না, ভুট্টা, কলা, করলা, পটলসহ বিভিন্ন ফসল তীব তাপদাহের কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবছর নীলফামারী জেলায় এবার ল্যমাত্রা ধরা ছিলো ৫৫৪ হেক্টর জমিতে । কিন্তু আবাদ হযেছে ২৫৪ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে কম।

এ জেলার ডোমার, ডিমলা, জেলা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উচ্চ তাপমাত্রার মধ্যেও কৃষকরা তাদের রোপনকৃত ফসল পরিচর্যায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।
নীলফামারী সদর উপজেলার কৃষক আসিফ আহমেদ বলেন এ বছর ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ করে ৩ বিঘা জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করেছি।’গত বছর একই জমিতে মরিচ চাষ করে ১৮০ মন কাঁচা মরিচ পেয়েছিলাম। তা বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা পাই। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১০ মনের কম কাঁচা মরিচ পেয়েছি। তা বিক্রি করে কেবল খরচটা উঠছে। কোনো লাভ হয়নি।

ইটাখোলার মরিচ চাষি জালাল উদ্দিন বলেন কম বৃষ্টি ও তীব্র গরমের কারণে গাছের পাতা কুঁচকে যাচ্ছে। ফুল ও ফসল শুকিয়ে ঝরে পড়ছে।’তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর দেড় বিঘা জমি থেকে প্রায় ১০০ মন মরিচ পেয়েছিলাম। এবার পেয়েছি ৪ থেকে ৫ মন।’তার মতে, সঠিক ফলন না পাওয়ায় কাঁচা মরিচের উচ্চমূল্য তার মতো কৃষকদের জন্য খুব একটা সুবিধা বয়ে আনেনি।
কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘মরিচ গাছের পাতা ঠিক রাখতে এ বছর ২০ শতক জমিতে ৪ হাজার টাকা বাড়তি খরচ করছি। তাতেও সমাধান হচ্ছে না।
ডোমার ও ডিমলার কৃষক ফটু আকন্দ বলেন, এ রকম গরম যদি অব্যাহত থাকে সেেেত্র মরিচ গাছ মরে যাবে। আমরা জমিতে সেচ প্রদান করার চেষ্টা করছি। কারণ দিনের বেলায় মাটিও প্রচন্ড গরম থাকে।

কিন্তু জমিতে সেচ দিলে মরিচ গাছ মরে যেতে পারে ও গাছ ফুলে নষ্ট হবে।
”নীলফামারী জেলার কৃষি উপপরিচারক ড.এস এস আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম জানান,মরিচের চারা উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না।”সাধারণত তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে মরিচের ফুলের পরাগায়ন ব্যাহত
হয়। এই মৌসুমে অনেক দিন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি থাকায় ফলন উল্লেখখযোগ্য হারে কমেছে।তিনি আরো বলেন আকাশের বৃষ্টির পানি পেলে মরিচের গাছ গুলো ফিরে আসবে আর নতুন ভাবে মরিচের গাছ থেকে নতুন পাতা ও মরিচ ধরবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর