জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সুপারভাইজার পদে নিয়োগে অনিয়মের খবর প্রকাশিত হয়েছে বেশকিছু বেসরকারী গণমাধ্যমে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে উপাচার্যপন্থী হিসেবে পরিচিত শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে প্রতিবাদে সচেতন ও সাধারণ শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা।
এর আগে বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি জানায়, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদটি খন্ডিত যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।কর্মকর্তা নিয়োগ ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক প্রেরিত চিঠিতে যে অভিজ্ঞতার সনদপত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই সনদপত্রটি তদন্ত করে আসন্ন সিন্ডিকেটে সঠিক ও যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি।
শিক্ষক সমিতির বিবৃতিটির দিন পেরোতেই শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়া উপাচার্য সমর্থিত প্যানেলটি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে মানববন্ধন নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্য কর্মসূচিতে এলো। মানববন্ধনে অংশ নেয়া প্রায় অর্ধশত শিক্ষকের মধ্যে ১৫ জনই বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে রয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- সংবাদ মাধ্যমে অর্ধসত্য প্রচার করা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। ইউজিসির চিঠি একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটি চলমান প্রক্রিয়ায় যখন এভাবে খন্ডিত সংবাদ প্রকাশ করা হয় তখন বোঝাই যায় এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজ। সংবাদ হবে সহযোগীতামূলক বিরোধিতা। ভবিষ্যতে সংবাদ মাধ্যম সত্য প্রচার করবে এটিই আমরা বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, এর আগে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে হল সুপারভাইজার পদে নিয়োগটিকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে খন্ডকালীন কাজের অভিজ্ঞতার সনদের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত/স্থায়ী পদে নিয়োগ প্রদান নিয়েও প্রতিবেদনটিতে প্রশ্ন তুলে ইউজিসি। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন সিন্ডিকেটে বিষয়টি উপস্থাপন করে সিদ্ধান্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসিকে লিখিতভাবে অবহিত করতে বলা হয়েছে ইউজিসির ওই তদন্ত প্রতিবেদনে।