মোঃ তৌফিকুল ইসলাম: বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়নে লাইব্রেরির ভূমিকা সর্বজনবিদিত। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এর ব্যতিক্রম নয়।
লাইব্রেরিটি মুদ্রিত পাঠ্যসামগ্রী সংগ্রহের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক পাঠ্যসামগ্রী সংগ্রহের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ব্যবহারকারীদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে এটি নতুন নতুন পাঠসেবার ব্যবস্থা ও সেবার মানোন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট।
লাইব্রেরিতে বিদ্যমান সেবাসমূহের মধ্যে অন্যতম হল- ইন্টারনেট সুবিধা, ডকুমেন্টেশন ও রেফারেন্স সেবা, সাবস্ক্রাইবকৃত বিদেশের নামী-দামী ইলেকট্রনিক জার্নালের এক্সেস সুবিধা,
এন্ট্রি-প্লেজারিজম সফটওয়্যার, ‘টারনিটিন ফিডব্যাক’ ‘টারনিটিন ফিডব্যাক স্টুডিও’ ব্যবহারের সুবিধা, ওপেন এথেন্স রিমোট এক্সেস সফটওয়্যারের মাধ্যমে লাইব্রেরির বাহিরে থেকে এর ইলেকট্রনিক রির্সোস-এ এক্সেস সুবিধা,
কোহা সফটওয়্যারের মাধ্যমে লাইব্রেরির অটোমেশন ও অপারেশন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। এছাড়া লাইব্রেরিতে ডি স্পেস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইনস্টিটিউশনাল রিপোজিটরি তৈরির কাজ চলছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক (চলতি দায়িত্ব) জনাব মুহাম্মদ সেলিম মিয়া জানান, ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ লাইব্রেরিটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ও কম্পিউটার ল্যাব আকারে ই-রিসোর্স সেন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণামূলক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কথাটির মূলে রয়েছে ইউনিভার্সেল বা সার্বজনীন, তাই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের জন্য শিক্ষা ও গবেষনার সহায়ক সকল সুবিধা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল স্যার বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সেন্টার অব এক্সিলেন্স তৈরির চেষ্টা করছেন।
স্যারের উদ্যোগকে সফল করার জন্য আমরাও লাইব্রেরিকে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে চাই।
লাইব্রেরিতে স্থানাভাবের কারনে নতুন নতুন সেবা চালু করতে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আশা করি খুব দ্রুত আমাদের স্থান সংকুলানের সমস্যা সমাধান হবে।