আরব ও অন্যান্য দেশের মতো পিরামিড আর নীল নদের ঐতিহাসিকদেশ মিশরে (রবিবার) উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহার।
রাত তিনটার আগেই দেখা যায় শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষ, সকলে জায়নামাজ হাতে নিয়ে ছুটে চলেছেন মসজিদের দিকে। বিদেশি ছাত্ররাও রাত দু’টা তিন’টা থেকে উপস্থিত। সারারাত আজহার মসজিদ খোলা ছিল।
মিশরে বাংলাদেশের মতো ঈদের নামাজের জন্য আলাদা কোনো ঈদগাহ নেই। ছোট-বড় সব মসজিদের ভেতর, স্কুল, বিভিন্ন ক্লাব সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঐতিহাসিক আজহার মসজিদে দেশের দূরদূরান্ত থেকে মুসল্লিরা এসে যোগ দেন ঈদের জামাতে। ফজরের নামাজের পর পর তাকবির দিয়ে অনুষ্ঠানিক আয়োজন শুরু করেন। ফজরের নামাজের পর থেকে ঈদের নামাজের সময় পর্যন্ত বিভিন্ন কারীরা কুরআন তেলওয়াত করেন। এবার ঈদের নামাজের সময় ছিল সকাল ৬:২০ মিনিটে। ঠিক সময়ে নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং নামাজ শেষে খুতবা প্রদান করে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত করেন। নামাজ শেষে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা নামাজ শেষ করে রাস্তার পাশে পশু কোরবানি দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকে ইদের আগে পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ছুটে যায় গ্রামে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদের কাছে। পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার মতো সুখ আর কিছুতে নাই। তাই ঈদের খুশিকে কেন্দ্র করে শহরে কর্মরত অধিকাংশ মিশরীয় নাড়ির টানে বাড়ি ফিরে যায়।
তবে এসবের মধ্যেও জ্ঞান অর্জনের খাতিরে লাখ শিক্ষার্থীর ফিরা হচ্ছে না পরিবার ও আপনজনদের কাছে। ঈদ কাটাতে হচ্ছে পরিবার থেকে দূরে থেকে। ঈদের দিনগুলোতে স্বজনদের ছেড়ে দূরে থেকে সময় পাড় করা কষ্টেরই বটে। কষ্টের মধ্যেও স্বস্তির খুঁজে এই সময়ে কষ্ট না পেয়ে বরং তারা নানান আয়োজন করেন। তারা তাদের যথা সম্ভব ঈদ আনন্দ যেন ম্লান না হয় সে চেষ্টা করেন। এই ভাবে তারা বিষাদময় সময় না কাটিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করেন নিজেদের মতো করে।