1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

আইসিসির প্রধান কৌঁসুলিকে হুমকি দিয়েছিলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪

ইসরায়েলের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেন একাধিক গোপন বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলিকে হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি যেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত বাদ দেন, সে জন্য চাপ প্রয়োগের চেষ্টা হিসেবে এই হুমকি দেওয়া হয় বলে গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

ফিলিস্তিনের দখলকৃত এলাকাগুলোতে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আইসিসির সাবেক কৌঁসুলি ফাতাউ বেনসুদা। এটা নিয়ে কয়েক বছর ধরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়োসি কোহেন।

এ বিষয়ে ২০২১ সালে শুরু হওয়া অনুসন্ধান গত সপ্তাহে শেষ হয়। এমন সময়ে এই তথ্য বেরিয়ে আসে, যখন ফাতাউ বেনসুদার উত্তরসূরি করিম খান গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তার জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আরজি জানান।

হামাসের তিন নেতার পাশাপাশি নেতানিয়াহু ও তাঁর প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন জানিয়েছেন আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি। এই পদক্ষেপকেই দীর্ঘদিন ধরে ভয় করে আসছিল ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব।

চারটি সূত্র নিশ্চিত করে বলেছে, কোহেনের ক্রমাগত হুমকি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও বেনসুদা আইসিসির কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে কোহেনের বিরুদ্ধে তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিলেন।

ওই সূত্রগুলোর মধ্যে তিনজন বিষয়টি সম্পর্কে আইসিসির কাছে বেনসুদার আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে জ্ঞাত ছিলেন। তাঁরা বলেন, বেনসুদার ওই সময় বলেছিলেন যে কোহেন তাঁকে বেশ কয়েকবার ফিলিস্তিন নিয়ে আইসিসির ফৌজদারি তদন্তে এগোতে চাপ দিয়েছেন। আইসিসির কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া ভাষ্য অনুযায়ী, কোহেন তাঁকে বলেছেন, ‘আপনার আমাদের সাহায্য করা উচিত এবং আমাদেরও আপনাকে সেবা করতে দিন। আপনি এমন কোনো কিছুর মধ্যে জড়াবেন না, যাতে আপনার বা আপনার পরিবারের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা লাগতে পারে।’

কোহেনের কার্যক্রম সম্পর্কে এক ব্যক্তি বলেন, কোহেন মূলত বেনসুদাকে ভয় দেখাতে ও প্রভাবিত করার চূড়ান্ত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জঘন্য কৌশল প্রয়োগ করেছিলেন কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছিল। তাঁরা কোহেনের এই আচরণকে ‘নিপীড়নের’ সঙ্গে তুলনা করেন

আইসিসির সাবেক কর্মকর্তা ও আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, বেনসুদাকে হুমকি বা চাপ দেওয়ার জন্য মোসাদের প্রচেষ্টা রোম আইনের ৭০ অনুচ্ছেদের অধীন বিচার প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। কোথাও গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ এবং আগ্রাসনের অপরাধ সংঘটিত হলে আইসিসি ওই অপরাধের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বা আইসিটি স্থাপন করতে পারে। ১৯৯৮ সালে গৃহীত রোম স্ট্যাটিউট, যা ২০০২ সালে কার্যকর হয়েছে, তাতে সেই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

কোহেনের সঙ্গে বেনসুদার সাক্ষাতের বিষয়টি করিম খান পর্যালোচনা করেছেন কি না, এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি আইসিসির মুখপাত্র। তবে তিনি বলেছেন, মোসাদের প্রধানের সঙ্গে করিম খান কখনো দেখা করেননি বা কথাও বলেননি। ওই মুখপাত্র অবশ্য নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁরা বলেন, করিম খানের কার্যালয়কে অনেক ধরনের হুমকি এবং চাপের শিকার হতে হয়েছে, যা আইসিসির কার্যক্রমকে অযথা প্রভাবিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর