৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা অনেকটাই জমে উঠছে। আগামী ২১ মে হাটহাজারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (২ মে) নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রচারে নামেন প্রার্থীরা। শুরু করেছেন জনসংযোগ, পোস্টার টানানোর পাশাপাশি চলছে যোগ্যতার যাচাই-বাছাইয়ে মত বিনিময়। বৃহস্পতিবার প্রচারণা শুরুর মধ্য দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মধ্যদিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
হাটহাজারীতে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও আওয়ামী লীগ, যুবলীগের তিন নেতার মধ্যেই হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের জন্য ব্যতিক্রমী জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা চলছে
এছাড়াও জমে উঠেছে।
হাটহাজারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন- মোটরসাইকেল মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম, আনারস মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইউনুস গণি চৌধুরী, ঘোড়া মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান।
তীব্র গরম উপেক্ষা করে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা আর দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি।
হাটহাজারী উপজেলায় মোট ভোটেরের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৪৪৮ জন, যার মধ্যে পুরুষ ভোটার হলো ১লক্ষ ৭০ হাজার ৮০৫ জন আরা মহিলা ভোটার হলো ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৪৩ জন।
ইতিমধ্যেই সাধারণ জনগণের মাঝে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে কে হবে উপজেলার অভিভাবক মোঃ উসমান নামের এক ব্যক্তি বলনে, আমরা এমন একজন জনপ্রতিনিধি উপজেলার অভিভাবক হিসেবে চাই যার কাছে গিয়ে আমরা আমাদের দুঃখ ও কষ্টের কথা বুঝাতে পারব আর যার মাধ্যমে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হবে রাস্তা ঘাটের কাজ হবে উন্নয়নের দিক দিয়ে আমাদের হাটহাজারী অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ পারভেজ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সারা বাংলা দেশে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হলেও আমাদের মির্জাপুর ইউনিয়ন অবহেলিত এখনো এখনে ধরতে গেলে রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন হয়নি বললে চলে, তাই আমরা এমন একজন উপজেলা অভিভাবক চাই যিনি সুখে দুঃখে আমাদের পাশে থাকবে হাটহাজারী উন্নয়ন কে তরান্বিত করবে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থী সমান তালে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহরাব হোসেন নোমান বলেন বিগত পাঁচ বছর হাটহাজারী উপজেলায় তেমন উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে না আমি নির্বাচীত হলে হাটহাজারী উন্নয়ন কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।
আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব ইউনুস গণি চৌধুরী বলেন, আমি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বচীত হলে হাটহাজারী গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়নকে তরান্বিত করব।
বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম রাশেদুল আলম বলেন,আমি গত পাঁচ বছর হাটহাজারী গণমানুষের পাশে ছিলাম এবং যথেষ্ট পরিমাণ সরকারি বরাদ্দ যতটুকু আসছিল তার যথাযথ সুষম বণ্টনের মাধ্যমে জনগণের পাশে ছিলাম এবং জনগণ যদি আবারও আমাকে চাই অবশ্যই আমি হাটহাজারী উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে রুপান্তর করব ইনশাআল্লাহ।
এখনো পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থীরা।