গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম বলেন, ঝড়ের নাম শুনলেই আমাদের এলাকার মানুষের প্রাণ কেঁপে ওঠে। প্রায় প্রতিবছরই জলোচ্ছ্বাসের কবলে পড়ে এখানকার মানুষের জানমালের ক্ষতি হয়। তবে পাউবো যে বাঁধ নির্মাণ করে, তা কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে যায়। সাধারণ জোয়ারে সেই বাঁধ প্লাবন ঠেকাতে পারে না, আর জলোচ্ছ্বাসে কী করে ঠেকাবে?
তিনি জানান, তার ইউনিয়নে অন্তত ৮টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে হরিষখালী, পার্শেমারী, খলষিবুনিয়া, লেবুবুনিয়াসহ ৫টি স্থানে বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ হয়ে আছে।
কৈখালী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমানে ইউনিয়নের পূর্ব কৈখালী, নৈকাটিসহ বেশ কয়েক জায়গায় বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নদীতে পানি বাড়লে বড় ক্ষতি হতে পারে। বাঁধ ভাঙলে গোটা ইউনিয়ন নদীর পানিতে তলিয়ে যাবে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিবুল আলম বলেন, উপজেলায় ১৬৩ সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুুত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছয় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীকে জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় তৈরি থাকার জন্য বলা হয়েছে। শুকনা খাবারসহ নগদ অর্থ মজুদ রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকার জনপ্রতিনিধির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উপকূলের মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারসহ নিরাপদ আশ্রয়ে প্রায় চার হাজার মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবং যেসব এলাকার মানুষ এখনও আশ্রয় কেন্দ্রে আসেননি তাদের জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ—১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এম সালাউদ্দীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ—নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্যামনগরকে ঘিরে থাকা উপকূল রক্ষা বাঁধের প্রায় ১২৯ কিলোমিটারের মধ্যে সাত/আটটি পয়েন্টের প্রায় দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে মাটি ফেলে উচ্চতা বৃদ্ধিসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁধের ভাঙন ও ধস ঠেকানোর কাজ চলছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক জুলফিকার আলী বলেন,সন্ধা ৬টা থেকে রাত ১২ টার ভীতরে সাতক্ষীরা মোংলা উপকুল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় “রামেল” মুল অংশ বাংলাদেশের সিমানা অতিক্রম করতে পারে।ঝড়ের অগ্রভাগ উপকুলে অবস্থান করছে। এখন বাতাসের গতিবেগ ৯০ থেকে ১২০ কি:মি:। সেসময় বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেতে পারে।