বগুড়ার ধুনেট জোড়া খুনের মামলা তুলে না নেওয়ায় বাদী ও স্বাক্ষীদের গ্রাম ছাড়া করেছে আসামীরা । ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে বাধা দেওয়া সহ তদের পরিবারকেও অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আনারপুর গ্রামে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
হত্যা মামলার বাদি আব্দুল হান্নান জানান, ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী জমি জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ সাহেব আলী, আবেদ আলী, বাদশা মিয়া সহ তাদের লোকজন
দিন দুপুরে প্রকাশ্যে ছোট ভাই আইয়ুব আলী ও ভগ্নিপতি জাহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যা করে। জোড়া খুনের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ২২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে। আব্দুল হান্নানের অভিযোগ, হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য তাকে সহ স্বাক্ষীদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে তিনি মামলা তুলে না নেওয়ায় আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৩০ এপ্রিল আব্দুল হান্নানের বড় ভাই পল্লি চিকিৎসক আব্দুল মান্নানকে পথরোধ করে মারধর করে।
এঘটনায় আব্দুল হান্নান সুমন মিয়া, সুজন মিয়া আশাদুল ইসলাম সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় একটি অভিযোগ দেয়। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আব্দুল হান্নান সহ জোড়াখুনের মামলার স্বাক্ষীদের গ্রাম ছাড়া করেছে। আব্দুল হান্নানের স্ত্রী কাজুলী খাতুন বলেন, হত্যা মামলার আসামীরা আমার স্বামী সহ ভাসুর আব্দুল মান্নান, দেবর নাজমুল ও ফিরোজকে গ্রাম ছাড়া করে ক্ষেতের পাকা ধান কাটতে বাধা দিচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আসামীদের অত্যাচারে শিশু ছেলে মেয়েদের নিয়ে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছি। জোড়াখুনের মামলার আসামী বাদশা মিয়া ও আবেদ আলী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
ধুনট, থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, আব্দুল হান্ননের অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। আদালত থেকে ওয়ারেন্ট আসলেই আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।