1. dailyamarkothabd@gmail.com : admin :
  2. hmhabibullah2000@gmail.com : Habib :
  3. sabbirmamun402@gmail.com : Sabbir :
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর আদর্শে দেশ গড়তে চান – জামাতে ইসলামী মীর নোয়াবুল হক মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পবিত্র মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।   রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়তের দখল ও প্রদানকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন কাওয়ালী অনুষ্ঠান থেকে কবি নজরুলকে জাতীয় কবির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি আসুন আমরা সবাই মিলে সুন্দর মুন্সীগঞ্জ গড়ে তুলি  জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:): মুন্সীগঞ্জে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুমন শেখ হলেনসোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গাজীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই নরসিংদীর  শেখ হাসিনা কি সত্যি পদত্যাগ করেছিলেন নবগঠিত কমিটিকে স্বাগতম জানিয়ে ধুনট উপজেলা ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল                                         

ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো কে এই মাদকাসক্ত এস আই সোহাগ

সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী: 
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

Tags: ,

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় নিরীহ ছাত্র ও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের উপর সরাসরি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পবা থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী এবং এস আই সোহাগ সহ আরো দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপর। স্বৈরাচার সরকারের ক্যাডার বাহিনী যুবলীগ , স্বেচ্ছসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ তদের সাথেই ছিলেন এসআই সোহাগ।

 

তারই সহযোগিতায় রাজনৈতিক নেতারা দেশি অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলনে হামলা চালায় এবং ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছাত্রদের উপর টিয়ারসের রাবার বুলেট চালিয়েছেন এই অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা এসআই সোহাগ।

 

জানা যায়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় আটক বাণিজ্যের মূল হোতা ছিলেন এই সোহাগ, আটকের শিকার প্রধানত হচ্ছিলেন জামায়াত শিবির এ বিএনপির নেতাকর্মী এবং কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্রসহ তরুণ-যুবকরা। অনেক ক্ষেত্রে বিত্তবান ব্যবসায়ী এবং সমাজের বিশিষ্টজনেরাও। কোনো অপরাধ না করা সত্ত্বেও যেখানে সেখানে ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক বাণিজ্য চালিয়েছেন তিনি। আটক ব্যাক্তিদের কাছে মুক্তিপণের মতো নগদ টাকার দাবি জানান তিনি। ‘সেটিং’ বা দরকষাকষি শেষে মিটমাটও হচ্ছে টাকার পরিমাণের বিষয়ে। সে অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করে তবেই মুক্তি মিলেছে আটকজনদের। কারো সঙ্গে নগদ টাকা না থাকলে তাদের স্বজনদের আনা হচ্ছিলো খবর দিয়ে। অনেককে আবার সময় বেঁধে টাকা দিয়ে যাওয়ার স্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হচ্ছিলো। এভাবেই মুলত চলে তার আটক বাণিজ্য। এসব ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও তিনি কিভাবে এবং কোন শক্তির বলে এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে। জনমনে তা প্রশ্ন রয়ে যায়। তার নিকট অত্মীয় অনেকেই কর্মরত রয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন অফিসার হিসাবে। তাদের ছত্রছায়ায় এসব কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে জানা যায়।

 

জানা যায়, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন সোহাগ। তিনি সর্বপ্রথম রাজশাহী তে আসার পরে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন। মির্জাপুর ফাঁড়ি তে যোগদানের পর থেকে শুরু হয় তার দুর্নীতি। ডাসমারী ও মিজানের মোড় নদীর পাশে থাকায় বিভিন্ন মাদকের বড় বড় চালান এসব এলাকা দিয়ে প্রবেশ করে। চাকুরিতে যোগদানের পর এস আই সোহাগ এলাকায় লোক দেখানো অভিযান চালানো শুরু করে। ডাসমারী ও মিজানের মোড়ের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক প্রকার আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল এসআই সোহাগ। চলে একের পর এক মাদক বিরোধী অভিযান আটক হয় বড়বড় মাদকের চালান।এর এক মাস পরে এসআই সোহাগের ভালোর মুখোশ খুলে যাই মাদক ব্যবসায়ীদের সামনে। শুরু হয় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি মাসে মাসোয়ারা নেওয়া এবং আটক বাণিজ্য।

 

আরও জানা যায়, মাদক বিরোধী এইসব অভিযানে যে পরিমাণ মাদক জব্দ হত তার সামান্য কিছু সরকারী খাতায় জব্দ তালিকায় দিয়ে বাকী মাদক রাজশাহীতে তাঁর পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী ও বন্ধুদেরকে কম দামে বিক্রি করার জন্য দিয়ে দিতো। এমন কি সেও নিজে ইয়াবা সেবন করে নিয়মিত। সেসময় তাঁর দুর্নীতির কিছু নথি গণমাধ্যমের হাতে আসলে তা নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর তাকে দায়িত্ব থেকে সড়িয়ে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। ক্লোজ হওয়ার কিছু দিন পরই আবার তাঁর পরিবারের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুপারিশে রাজশাহীর পবা থানায় যোগদান করেন এসআই সোহাগ।

 

এসআই সোহাগ কে এই বিষয়ে জানতে ফোন করাই তিনি মুঠোফোন বক্তব্য দিতে রাজী হয়নাই।

 

পবা থানার ওসি মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন , আমি নতুন এই সমস্ত বিষয়ে আমি অবগত না। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর তাকে থানা থেকে সড়িয়ে পুলিশ লাইনে দেওয়া হয়েছে।

 

অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, এসআই সোহাগ কে থানা থেকে পুলিশ লাইনে পেরন করা হয়েছে। তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

এ জাতীয় আরও খবর