হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলায় হালদার বেড়ি বাঁধ ভেঙে লাখো মানুষ পানি বন্দি।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) দিবাগত রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। রাতে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ও নাজির হাট এলাকায় হালদা নদীর বেড়ি বাঁধ ভেঙে যায় এতে হাজার হাজার মানুষের ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাট তলিয়ে যায়, অনেকের ঘরে হাঁটু পরিমান পানি, রাতে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে সর্তকতা জারি করে এবং আশ্রয় কেন্দ্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ, ধলই,গুমানমর্দন,ছিপাতলী, কাজীরখীল,মোহাম্মদপুর,মার্দশা,শিকারপুর,বুড়িশ্চর এলাকাসমূহ পানির নিচে।
হাটহাজারী উপজেলার প্রশাসন হাটহাজারী মাধ্যমিক স্কুল সমূহ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে রাতে থেকে যারা পানি বন্দি তারা আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর উজ্জামান রাতে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখে।
হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার বন্যায় কবলিত এলাকা গুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস,রেট ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ সমূহের রোবাট স্কাউট ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহ কাজ করতেছে।
রাতে থেকে দেখা যায় চট্টগ্রাম শহর থেকে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি এলাকায় ট্রাকে করে নৌকা নিয়ে যেতে বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য।
জানা যায়, গতকাল ২২ আগষ্ট ফটিকছড়ি উপজেলায় ছেলেকে নিয়ে বাবা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পানির স্রোতে বাবা চলে যায় আর ছেলে বৈদ্যুতিক খুঁটি জড়িয়ে ধরে আছে, ফটিকছড়ি উপজেলায় একজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়।