দিনাজপুর জেলা পুলিশ বিভিন্ন মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অপহরণ ও নিখোঁজের ঘটনা প্রতিরোধে সর্বাত্মকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ইতিপূর্বে দিনাজপুর জেলায় বিভিন্ন মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নারীসহ অন্যান্য যারা অপহরণ ও নিখোঁজ হয়েছে তা দিনাজপুর জেলা পুলিশ বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে ভিকটিম উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
জানা যায় মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার চাকদহ গ্রামের সাহিদুল ইসলামের পুত্র রাশেদুল ইসলাম (২২) এর সাথে মোবাইল ফোনে ভুল নম্বর ডায়ালের মাধ্যমে কথোপকথন হলে অপহরণকারী ভিকটিমকে বিভিন্ন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এই প্রেমের ফাঁদে পরে ভিকটিম গত ০৩/০৫/২০২৪ হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা (গুচ্ছ) দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাহারোল উপজেলার তার নিজ বাসা থেকে সকালে বের হয়ে যায়।অপরদিকে অপহরণকারী পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দিনাজপুরের উল্লিখিত পরীক্ষার সেন্টার থেকে বাস যোগে প্রথমে সাভার, ঢাকা, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও পরবর্তীতে ফরিদপুরে সদরে বাসা ভাড়া করে অবস্থান করে।
এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা বাবুল হোসেন (৫০) কাহারোল থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার মামলা নং-০৬, তারিখ- ১১/০৫/২৪ইং, ধারা-৭/৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী- ২০২০) রুজু করা হয়। মামলা রুজুর পরপরই কাহারোল থানা পুলিশের ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতার করতে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে এবং দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, পিপিএম (বার) সরাসরি নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্), জনাব আব্দুল্লাহ আল মাসুম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) সমন্বিত পরিকল্পনায় দিনাজপুর সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেলের এসআই (নিঃ) বিশ্বজিৎ দাস,
কাহারোল থানার এসআই (নিঃ) মোঃ আল মামুন, উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মোঃ মমিনুর রহমানসহ উক্ত থানার সঙ্গীয় ফোর্সের সমন্বয়ে অভিযান শুরু করে। পরেভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর মোবাইল নম্বর বের করে অপহরণকারী ও ভিকটিমের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। আসামী অতিরিক্ত ধূর্ত হওয়ায় নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন সিম কার্ড ব্যবহার করে সেই সাথে প্রতিনিয়ত ছোট বাটন সেট কয়েক ঘণ্টা বা একদিনের মতো ব্যবহার করে তা আবার বিক্রি করে দেয়।
যার কারণে ভিকটিম ও অপহরণকারীকে উদ্ধার করেতে পুলিশকে অনেক বেগ পেতে হয়। শেষে দিনাজপুর জেলা পুলিশ তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে উক্ত ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরনকারী রাশেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। কাহারোল থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ ফারুকুল ইসলাম ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারী রাশেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করে দিনাজপুর জেলা পুলিশ কনফারেন্স রুমে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘটনার বিবরণ প্রকাশ করেন।