Tags: জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ দেশকে ফ্যাসিবাদের হাত থেকে যারা মুক্ত করেছে সেই সকল শহীদদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা সর্বাবস্থায় সেই সকল শহীদ পরিবারের পাশে আছি। আজ আমাদের দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এখন দেশকে নতুন করে গড়তে হবে। যারা শহীদ হয়েছেন তারা আমাদের জাতীয় বীর। শহীদ পরিবারের স্বজনদের চোখের পানি ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসে ফ্যাসিবাদের পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস পড়বে।”
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াত আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত কুড়িগ্রামের শহীদ ৪ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপরোক্ত কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা আমীর মোঃ মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসাইন কায়কোবাদ,জেলা সহকারী সেক্রেটারি শাহজালাল সবুজ,মাওলানা আব্দুল হামিদ , শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী, রৌমারী উপজেলা আমীর আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, রাজিবপুর উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি জনাব মুকুল হোসাইন , জেলা সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন সহ জামায়াত এবং শিবিরের অনন্য নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, “যারা গুলি চালিয়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে লাশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, তাদের বিচার করতেই হবে। আমরা এই নির্মম, নৃশংস মানুষ হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেয়ার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গণহত্যা চালিয়েছে, জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে, বহু মানুষকে গুম করেছে দেশের মানুষ তাদের কোনোদিন ক্ষমা করবে না। ৫ আগস্টের পরাজিত গোষ্ঠী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধুয়া তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। অথচ সংখ্যালঘুরা আওয়ামী লীগের দ্বারাই সবচেয়ে বেশী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী সকলে মিলে আমরা শান্তি-স্বস্তি ও সম্প্রীতির দেশ গড়ব, ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য উক্ত মতবিনিময় সভাটি জেলা পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।