নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের শিমুলতলা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নিয়মিত কমিটি গঠনে অনিয়ম দূর্ণীতি সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে ৪ জন অভিবাবক সদস্য সাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর, প্রেরন করা হয়েছে।
অভিযোগের নধিসুত্রে যানা গেছে,
বিদ্যালয়ে কিছুদিন পূর্বে একটি নিয়মিত কমিটির তালিকা প্রনয়ণ করা হয়।
যে কমিটি বিদ্যালয়ের পূর্বের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে তথ্য গোপন করে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়েছে।
৩ থেকে ৪ মেয়াদে এভাবে তথ্য গোপন করে কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগকারী অভিবাবকদের ভোটার তালিকা দেখানো হয়নি।
তারা কমিটি গঠন সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। বিদ্যালয় অফিস কক্ষে গিয়ে তথ্য চাইলে তা ও দেওয়া হয়নি। তথ্য চাওয়ায় অভিবাবকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির প্রতিবাদ করলে তাদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেন সভাপতি ও কয়েকজন শিক্ষক।
অভিবাবক সদস্য আওয়াল সরদার বলেন, বিদ্যালয়ে কোন প্রকার অভিবাবক মিটিং করা হয় না। নিজেদের খামখেয়ালী মত বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়।কোন অভিবাবক বিদ্যালয়ে গেলে স্থানীয় শিক্ষক টিটাব তাদের সাথে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। ছাত্রীদের অহেতুক ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।ফলে কোন অভিবাবক ভয়ে প্রতিবাদ করে না।আমরা বিদ্যালয়ে নতুন তফসিল ঘোষণা করে কমিটি গঠনে দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় অভিভাবক সদস্য ইমদাদুল সর্দার বলেন,নিয়মনীতির কোন রকম তোয়াক্কা না করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়সারা নিয়ম মেনে কমিটি গঠন হয়েছে। যা তদন্ত বেরিয়ে আসবে। এই কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে শিমুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, নীয়ম মেনে কমিটি করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি টিপু মোল্যা বলেন, অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।নিয়ম মেনে সব করা হয়েছে। আমি নিয়োগ দিলে এক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকি। যারা দুর্নীতিবাজ তারা ১০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১ জনকে চাকরি দেয়।
নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।